রান্নাঘরে হলুদ না থাকলে সে দিন রান্না করাই মুশকিল! তেমনই শরীরের যত্ন নিতেও হলুদের জুড়ি মেলা ভার। সারা বছর সুস্থ থাকতে যে জিনিসটির উপরে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখতে পারেন, তা হল কাঁচা হলুদ। হেঁশেলের এই অতি পরিচিত জিনিসটির গুণ অনেক। ত্বকের যত্ন থেকে শরীরের দেখভাল— সবতেই সিদ্ধহস্ত হলুদ।
হলুদের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ শরীরের সব রকম প্রদাহ কমানোরও ক্ষমতা রাখে। তবে শুধু শরীর নয়, ত্বকের যত্নেও হলুদের ভূমিকা অনবদ্য। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে হলুদের রয়েছে অপরিসীম সাহায্য। হলুদ একে অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদানে সমৃদ্ধ, তার উপর তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে এর প্রভাব বেশ অনেকটাই। ভেষজ গুণ থাকায় নানা ফেসপ্যাকেই হলুদ মেশানো যায়। শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করা, ফাটা ঠোঁটের পরিচর্যা, ত্বকের দাগছোপ দূর করা— সবেতেই এই হলুদের ভূমিকা রয়েছে। ত্বক পরিচর্যায় কী কী ভাবে ব্যবহার করতে পারেন কাঁচা হলুদ?
১) শীতকাল মানেই ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। জেল্লা হারিয়ে যায়। শীতেও জেল্লাদার আর্দ্র ত্বক পেতে দইয়ের সঙ্গে কাঁচা হলুদ আর মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। দই আর মধু ত্বককে আর্দ্র রাখে আর হলুদ ত্বকে প্রাকৃতিক জেল্লা আনতে সাহায্য করে। ১ মাস সপ্তাহে দু’দিন করে এই প্যাক ব্যবহার করতে পারলেই বদল চোখে পড়বে।
হলুদের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ শরীরের সব রকম প্রদাহ কমানোরও ক্ষমতা রাখে। ছবি: সংগৃহীত।
২) শীতকাল মানেই ত্বকে টান পড়তে শুরু করে। চুলকানিও শুরু হয়। এই সমস্যা দূর করতে আধ চা চামচ কাঁচা হলুদবাটার সঙ্গে ১ চা চামচ ঘি মিশিয়ে নিন ভাল করে। তার পর সেই মিশ্রণ আলতো হাতে ত্বক মালিশ করুন। মিনিট ১৫ পরে নরম ভেজা কাপড় দিয়ে মুখ মুছে নিন। ত্বকে চটজলদি জেল্লা আনতে এই টোটকাটি দারুণ কাজের।
৩) শীত পড়লেও ট্যানের সমস্যা দূর হয় না। নিয়মিত বাইরে বেরোলে ত্বকে ট্যান পড়বেই। এই সমস্যা দূর করতেও কাজে লাগাতে পারেন কাঁচা হলুদ। কাঁচা হলুদ, চন্দনগুঁড়ো আর গোলাপজল দিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে নিন। এই প্যাকটি মেখে মিনিট দশেক অপেক্ষা করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ট্যান দূর করতে এই প্যাক দারুণ কাজ করে।