চুলের যত্ন কী ভাবে করবেন তা নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই। তেল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার মেখেও কিছুতেই যেন ভোল বদল হচ্ছে না। রুক্ষ চুলে জেল্লা ফেরা দূর অস্ত, উল্টে চিরুনি বোলালেই বেশ কয়েকটি করে চুল উঠে আসছে।
চুলের যত্নে শুধু তেল, শ্যাম্পু যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন হয় স্ক্রাবিং, তেল মালিশেরও। দরকার হয় মাস্কের। কিন্তু মাখবেন কোনটি? বাজারচলতি বেশির ভাগ পণ্যে রাসায়নিক ব্যবহার হয়, যা চুলের ক্ষতি করতে পারে। তবে প্রাকৃতিক উপাদানে ভরসা করলে বেছে নিতে পারেন সূর্যমুখীর বীজ।
চুলের জন্য কেন ভাল বীজ?
সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে স্যাচুরেটেড, পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন ই, নিয়াসিন, ফোলেট, আয়রন, ম্যাগনেশয়াম, জিঙ্ক, কপার, ম্যাঙ্গানিজ়, সেলেনিয়ামের মতো খনিজ। চুলের বৃদ্ধির জন্য প্রোটিনের প্রয়োজন। ভিটামিন ই মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায়। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল করতে এবং আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়ক। ভিটামিন ই এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। জ়িঙ্ক চুল ঝরা বন্ধ করতে কার্যকর। এতে থাকা ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিডের গুণে চুলের জেল্লা বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়াও খুশকি দূর করতে, মাথার ত্বকে চুলকানি কমাতেও সাহায্য করে সূর্যমুখী ফুলের বীজ।
আরও পড়ুন:
স্ক্রাবার: মুখের জন্য স্ক্রাবিং জরুরি, চুলের জন্যও তেমনই। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিতে, তেল-ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এটি। ৩-৪টি সূর্যমুখীর বীজ গুঁড়িয়ে তার সঙ্গে নারকেল তেল, ব্রাউন সুগার মিশিয়ে নিন। মাথার ত্বকে মিশ্রণটি দিয়ে হালকা হাতে মালিশ করে ধুয়ে ফেলুন।
সূর্যমুখীর বীজের জল: স্ক্রাবিংয়ের পর চুলে শ্যাম্পু করে নিন। তারপর ব্যবহার করুন সূর্যমুখীর বীজের জল। বেশ কয়েকটি বীজ জলে ফুটিয়ে নিন। জল ঠান্ডা হলে শ্যাম্পু করার পরে তা দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন।
চুলের মাস্ক: সূর্যমুখীর বীজ গুঁড়িয়ে নিন। পাকা কলার সঙ্গে বীজের গুঁড়ো, নারকেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। পরিষ্কার চুলে মাস্কটি মাখতে হবে। মাথার ত্বক থেকে চুলে ভাল করে তা লাগিয়ে নিয়ে হালকা হাতে মালিশ করুন। শুষ্ক চুলের সমস্যার সমাধান হবে ঘরোয়া উপকরণেই।
সূর্যমুখীর বীজের তেল বা মাস্ক ব্যবহারের আগে দেখে নিন এতে অ্যালার্জি হচ্ছে কি না। কারও কারও এমন সমস্যা থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে বীজ মাথায় মাখলে চুলকানি অথবা প্রদাহ হবে।