সাজগোজ যতই নিখুঁত হোক, চুল যদি তেলচিটে হয়ে বসে থাকে, দেখতে মোটেও সুন্দর লাগে না। চুল যেমন রুক্ষ হলে বিশ্রী লাগে, তেমনই তেলতেলেও হলে ভাল দেখায় না একেবারেই। তা ছাড়া চুল তৈলাক্ত হলে, তা যেমন ফাঁপিয়ে কায়দা করে বাঁধা যায় না, তেমনই খোলা রাখলেও নজর কাড়ে না।
কিন্তু ব্যস্ত জীবনে অফিসের মিটিং লেগেই থাকে। তা ছাড়া, জন্মদিন, বন্ধুদের বাড়ি পার্টি, সিনেমা দেখতে যাওয়া— এ সবও থাকেই। শেষ মুহূর্তে এমন কোথাও যেতে হলে, শ্যাম্পু করার সময়ও থাকে না। তখন কী করবেন? মুশকিল আসান হতে পারে মাত্র ৫ মিনিটেই।
পাউডার: হাতের কাছে পাউডার আছে নিশ্চয়ই। চুল বেশি তেলচিটে হয়ে গেলে হাতে অল্প পাউডার নিয়ে চুলের গোড়ায় আঙুল দিয়ে লাগিয়ে নিন। মাথার ত্বকের তেল ভাব পাউডার শুষে নেবে। এবার সারা মাথায় পাউডার লাগিয়ে চিরুনি বুলিয়ে নিন ভাল করে। কোনও ব্রাশ থাকলে অতিরিক্ত পাউডার ঝেড়ে ফেলুন। এতেই কিন্তু চুল অনেক বেশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। বাঁধাও সহজ হবে।
আরও পড়ুন:
ব্লো-ড্রাই: তৈলাক্ত চুল থেকে অতিরিক্ত তেল সরিয়ে কেশসজ্জা করতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ব্লো ড্রায়ার। এটি ভিজে চুল শুকোনোর বৈদ্যুতিক যন্ত্র। যন্ত্র থেকে প্রচণ্ড জোরে হাওয়া বেরোয়, এতে চুল শুকিয়ে যায়। চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে ড্রায়ার ব্যবহার করলেও চুলের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব কমে যায়। ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করে কেশসজ্জা করা যায় সহজেই।
ড্রাই শ্যাম্পু: যাঁদের চুলের ধরন তৈলাক্ত বা দু-তিন দিন শ্যাম্পু না করলেই তেলচিটে হয়ে যায়, তাঁদের জন্য সবচেয়ে কাজের জিনিস হতে পারেন ড্রাই শ্যাম্পু। স্প্রে আকারেও এটি পাওয়া যায়। চুলের গোড়ায় স্প্রে করে হাত দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে ভাল করে চুল আঁচড়ে নিলেই, সুন্দর কেশসজ্জা সম্ভব।
এ ছাড়াও কেউ কেউ বলেন, বেকিং সোডা ব্যবহার করতে। কারণ, এটি মাথার ত্বকের তেল দ্রুত শোষণ করে নিতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে এক-আধ বার তা মাখলেও, বার বার ব্যবহার করা একেবারেই অনুচিত। এতে চুলের ক্ষতি হতে পারে।