ত্বকের লাবণ্য ও বয়স ধরে রাখতে তেলের জুড়ি নেই। তবে বডি অয়েল যা খুশি মেখে নিলেই হবে না। তেল বেছে নিতে হবে ত্বকের ধরন বুঝে। সকলের ত্বকের প্রকৃতি এক রকম নয়। তাই তেলের ধরনও আলাদাই হতে হবে। শীতের সময়ে ত্বক খুব তাড়াতাড়ি শুষ্ক হয়ে যায়। তাই এই সময়ে সঠিক তেল নির্বাচন করতে পারলে তা ত্বককে যেমন নরম ও মসৃণ রাখবে, তেমনই বলিরেখা, চোখের তলার কালিও দূর করবে।
ত্বকের ধরন বুঝে কেমন তেল বাছবেন?
বলিরেখা পড়লে
ত্বকে যদি বলিরেখা পড়তে শুরু করে, তা হলে প্রিমরোজ় অয়েল এবং অলিভ অয়েল খুব ভাল। যদি মনে হয় ত্বকে ক্লান্তির ছাপ পড়ছে, বুড়োটে দেখাচ্ছে, তা হলে খুব কার্যকরী হতে পারে এই দুই তেল। ত্বক যদি খুব তৈলাক্ত হয়, তা হলে গ্রেপসিড তেল বেছে নিতে পারেন।
শুষ্ক ত্বক
ত্বক যদি খুব রুক্ষ ও স্পর্শকাতর হয়, তা হলে নারকেল তেলই আদর্শ। স্নানের আগে ও রাতে শোয়ার আগে হাতে-পায়ে, মুখে নারকেল তেল মাখলে ত্বক নরম থাকবে।
আরও পড়ুন:
ব্রণর সমস্যায়
ত্বকে যদি ব্রণ, ফুস্কুড়ির সমস্যা থাকে, তা হলে সবচেয়ে ভাল কাজ করতে পারে ক্যামেলিয়া অয়েল। ত্বকের রন্ধ্রে জমে থাকা ময়লা বার করে দেয় ক্যামেলিয়া তেল। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক মসৃণ দেখায়।
স্পর্শকাতর ত্বক
রুক্ষ ও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য ভাল অ্যাভোকাডো অয়েল। এই তেল ভিটামিন ই, লেসিথিন এবং পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ হওয়ায় ত্বককে ময়েশ্চারাইজ় করার সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টি জোগায়। আমন্ড অয়েলও এমন ত্বকের জন্য ভাল। ভিটামিন এ, ই এবং ডি-এর প্রাকৃতিক উৎস হল আমন্ড তেল। এই উপাদানগুলি ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই তেল খুবই হালকা এবং সহজেই ত্বকের সঙ্গে মিশে যায়। ত্বককে নরম এবং মসৃণ করে তোলে।
স্বাভাবিক ত্বক
ব্রণ বা র্যাশের সমস্যা নেই এমন ত্বকের জন্য আর্গন অয়েল ভাল। ভিটামিন ই থাকায় তা ত্বকের দাগছোপ, বলিরেখা দূরে রাখতে সক্ষম।
আরও পড়ুন:
ত্বকে ট্যান পড়লে
আপনাকে কি রোজ বাইরে বেরোতে হয়? তা হলে রোদে পুড়ে ত্বকে নিশ্চয়ই ট্যান পড়েছে? সেক্ষেত্রে ল্যাভেন্ডার তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বকের যে কোনও দাগছোপ দূর করতে এই তেলের জুড়ি মেলা ভার।