সাজঘর ভর্তি বোতল আর টিউব। নামী-দামি সামগ্রী দিয়ে সকাল-রাতে ত্বকচর্চা। কেউ ৭ ধাপে, কেউ বা ১০ ধাপে বিশ্বাসী। ক্লিনজ়ার, টোনার, ময়েশ্চারাইজ়ার, ফেস মিস্ট, আরও কত নতুন নামের প্রসাধনী আবিষ্কার হয়ে গিয়েছে। অথচ দিদিমা-ঠাকুরমাদের সময়ের কথা ভাবলে অবাক হতে হয়, কোথায় ছিল এই বাহুল্য? তা-ও কী ভাবে এত উজ্জ্বল ছিলেন তাঁরা? সম্প্রতি এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এলেন অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া জোনাস।
কোরিয়ান ফেসিয়াল নিয়ে হুলস্থুলের যুগে সাবেকের কথা মনে করালেন অভিনেত্রী। নিজের পূর্বসূরিদের থেকে তিনি শিখেছেন, সৌন্দর্যবোধের সঙ্গে শিকড়ের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাঁর মা, ঠাকুরমা, এমনকি বাবা, প্রত্যেকেই নিজেদের ত্বকচর্চার বিষয়ে মনোযোগী ছিলেন। সাধারণত বলা হয়, পুরুষদের থেকে মহিলারা ত্বকচর্চা, রূপচর্চা নিয়ে বেশি সচেতন। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা নিজের ঘরের উদাহরণ দিয়ে সেই বহুল প্রচলিত ধারণাকে ভেঙে দিলেন। জানালেন, তাঁর বাবা নিজস্ব ত্বকচর্চার রুটিন মেনে চলতেন। তিনি এমনই এক পরিবেশে বড় হয়েছেন, যেখানে আত্ম-পরিচর্যা গুরুত্ব পেত।

প্রিয়ঙ্কার মা, ঠাকুরমা, এমনকি বাবা, প্রত্যেকেই নিজের ত্বকচর্চার বিষয়ে মনোযোগী ছিলেন। ছবি: সংগৃহীত।
প্রিয়ঙ্কার মতে, রূপ বা সৌন্দর্যের চাবিকাঠি রয়েছে প্রত্যেকের হেঁশেলেই। আর সে নিদর্শন তিনি পেয়েছেন নিজের মা এবং ঠাকুরমার কাছেই। যাঁরা ঐতিহ্যের উপরই ভরসা রাখতেন কেবল। অভিনেত্রীর মা এক্সফোলিয়েট করার জন্য বিশেষ একটি মিশ্রণ বানাতেন। যেটির উপকরণে ছিল ময়দা, হলুদ এবং দই। প্রিয়ঙ্কা এখনও এই মিশ্রণই গায়ে মাখেন। বাড়িতে বানানো এই ধরনের স্ক্রাব অত্যন্ত পুষ্টিকর বলে মনে করেন ‘বরফি’র নায়িকা।
প্রিয়ঙ্কা দেখেছেন, তাঁর ঠাকুরমা কেবলই নারকেল তেল মাখতেন। সারা জীবন একটি তেলের বোতল দিয়েই রূপচর্চার কাজ সেরেছেন তিনি। আর ফলাফল? ৯৪ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন প্রিয়ঙ্কা্র ঠাকুরমা, এবং মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত মুখে বড়জোর তিনটি বলিরেখা ফুটে উঠেছিল। এ রকম সরল ও সাদামাটা টোটকার ফলাফল এমন আশ্চর্য হতে পারে!
আরও পড়ুন:
যদিও উল্টো দিকটিও সত্যি। হলুদ ও দইয়ের মতো প্রাকৃতিক উপাদান সবার ত্বকের জন্য আবার উপযুক্ত নয়। অতিরিক্ত স্ক্রাবিংও সব সময়ে ভাল নয়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অন্য কোনও প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে।