গ্রীষ্ম মানেই আম, লিচু, তরমুজের মরসুম। আর আম-প্রেমীরা তো এই সময়ের জন্যই অপেক্ষা করেন। কিন্তু সেই আনন্দেও বাধা! কেউ বদহজমের ভয় পান, কেউ বা ওজনবৃদ্ধির আশঙ্কা করেন, কেউ আবার রক্তে শর্করাবৃদ্ধির বিষয়ে দুশ্চিন্তা করেন। শেষমেশ বাদ পড়ে যায় আমের রসাস্বাদনের আনন্দ। কিন্তু আম খাওয়ার বিষয়ে বাধো বাধো ঠেকলে অবশ্যই পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকারের পরামর্শশুনে দেখতে পারেন। আম খাওয়ার বিষয়ে কী বলছেন করিনা কপূরের পুষ্টিবিদ?
প্রতি দিন একটি করে আম। ঋতুকালীন এই ফলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রুজুতা। তাঁর দাবি, আম কেবল সুস্বাদু ফল নয়, পুষ্টিকরও বটে।
ঋতুকালীন এই ফলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রুজুতা দিওয়েকার। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিকেরা মনে করেন, আম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু রুজুতা জানাচ্ছেন, টাটকা আম খেলে ওজন বেড়ে যায় অথবা ডায়াবিটিসের রোগীদের সমস্যা হয়, এমন দাবির কোনও প্রমাণ নেই এখনও পর্যন্ত। বরং আমের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং পলিফেনল। যেগুলি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
খাওয়ার আগে আমটিকে আধ ঘণ্টা মতো জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
রুজুতার পরামর্শ, খাওয়ার আগে আমটিকে আধ ঘণ্টা মতো জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। গরমে রোজ একটি করে আম খাওয়া আদপে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস।
(এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। কারা আম খেতে পারবেন, আর কারা পারবেন না, সে বিষয়ে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।)