বর্ষার জমা জলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়ে পায়ের পাতায় ময়লা, কাদা লেগে যায়। জমা জল থেকে ছত্রাক, ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণও হয়। অনেকে তো আবার পায়ের নখও ঠিকমতো পরিষ্কার করেন না। ফলে নখের কোনায় ময়লা জমতে জমতে তার থেকেও সংক্রমণ হয়। নখের কোণা ফুলে ওঠে। নখের চারপাশের চামড়া ফুলে লাল হয়ে যায়। নখ কালচে হতে থাকে, পুঁজ জমা শুরু হয়। অনেক সময়ে নখে হলদেটে ছোপও পড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কী করণীয়?
১) প্রথমেই জরুরি হল পুষ্টিকর খাদ্য। বায়োটিন যুক্ত খাবার নখ ভাল রাখে। নখের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। ডিম, সয়াবিন, কলা, ফুলকপি, কাঠবাদাম, চিনেবাদাম, আখরোট, সূর্যমুখী ফুলের বীজ, তিসির মতো খাবার বায়োটিনে সমৃদ্ধ। প্রতি দিন একমুঠো বাদাম এবং বিভিন্ন বীজের মিশ্রণ খেলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে বায়োটিন পৌঁছয়।
২) ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, প্রোটিন, ওমেগা-ত ফ্যাটি অ্যাসিড, জিঙ্ক নখের জন্য খুব উপকারি। এর জন্য খেতে হবে দুগ্ধজাত দ্রব্য, তাজা মাছ, বিন্স, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, আমন্ড, চিয়া বীজ।
৩) নখের পরিচর্যার জন্য এক চা চামচ অলিভ তেলের সঙ্গে ২ চামচের মতো টি ট্রি তেল মিশিয়ে নিন। তুলোয় করে এই মিশ্রণ নিয়ে অল্প অল্প করে পায়ের নখের ক্ষত জায়গাটিতে ও তার চারপাশের ত্বকে লাগিয়ে নিন। নিয়ম করে লাগালে ফল পাবেন। তবে টি ট্রি তেল লাগানোর পরেই কিন্তু মোজা বা জুতো পরে নেবেন না। তা হলে তেল উঠে যাবে।
আরও পড়ুন:
৪) মুখে বা গায়ে যেমন আর্দ্রতার প্রয়োজন, তেমনই নখেরও। তাই রোজ রাতে যখন মুখে ময়শ্চারাইজ়ার লাগাবেন, তখন পায়ের পাতাতেও ভাল করে মালিশ করে নেবেন। এতে নখের চারপাশের ত্বক নরম ও আর্দ্র থাকবে।
৫) লেবুতে প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট রয়েছে। তাই যে কোনও রকমে দাগ ছোপের ক্ষেত্রে দারুণ কাজ করে। নখে জেদি হলদে দাগ থাকলে একটু কম লেবুর রস এবং বেসন দিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে রাখুন। সেটা নখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। বেশ কিছু দিন এই টোটকা মেনে চললে খুব তাড়াতাড়ি সুফল পাবেন।