ভাইফোঁটার দিন সকালে মেলা কাজ থাকবে। সব জোগাড়যন্ত্র সেরে সাজাগোজার সময় হয়তো কমই থাকবে হাতে। এ দিকে সকালে পরবেন বলে, পছন্দের শাড়ি বেছে রেখেছেন। মানানসই গয়নাও রয়েছে। শুধু চটজলদি মেকআপটা সেরে নিতে হবে। সকালের সাজে চড়া মেকআপ ভাল লাগবে না। তাই ছিমছাম কিন্তু নিখুঁত মেকআপেই হতে হবে নজরকাড়া। হাতে যদি মিনিট দশেক সময়ও থাকে, তা হলেও নিখুঁত মেকআপ সেরে নিতে পারেন।
কম সময়ে নিখুঁত মেকআপের কিছু টিপ্স
শুরুর মেকআপ
আসা যাক মেকআপ পর্বে। মুখ ভাল ভাবে পরিষ্কার করে টোনার এবং হালকা ময়েশ্চেরাইজ়ার বা সিরাম লাগিয়ে নিন। এর উপর অবশ্যই একটি এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। দিনের মেকআপের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রয়োজন নেই। মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য সামান্য প্রাইমার ব্যবহার করুন। মুখের কোথাও যদি অবাঞ্ছিত দাগছোপ থাকে, সে ক্ষেত্রে কনসিলার দিয়ে তা ঢেকে ফেলা প্রয়োজন।
চোখের তলার কালি
দুর্গাপুজো পেরিয়ে কালীপুজো, দীপাবলির হুল্লোড়— টানা কিছুদিন ধরে শরীরের উপর ধকল গিয়েছে বিস্তর। রাত জেগে হইহুল্লোড়ও করেছেন। তাতে ঘুম কম হয়েছে, ফলে চোখের নীচে পুরু কালির পরত পড়েছে। ভাইফোঁটার দিন সকালে যদি তরতাজা দেখাতে হয়, তা হলে চোখের তলার কালি ঢেকে ফেলতে হবে নিখুঁত ভাবেই। তার জন্য কনসিলার লাগাতে পারেন। ক্রিম কনসিলার স্টিক দিয়ে চোখের ঠিক নীচ বরাবর লাইন টানুন। তার পর ভাল করে মিশিয়ে দিন।
আরও পড়ুন:
চোখ সাজান যত্নে
১) প্রথমে আইব্রো পেন্সিল দিয়ে ভ্রুযুগল এঁকে নিন। পেন্সিল দিয়ে ভ্রু আঁকার অভ্যাস না থাকলে আইব্রো পাউডারও ব্যবহার করতে পারেন।
২) চোখে হালকা করে কাজল দিতে পারেন। চাইলে আইলাইনার ব্যবহার করতে পারেন। খুব বেশি উইং বা মোটা লাইনার ব্যবহার করবেন না।
৩) হালকা রঙের আইশ্যাডো চোখের পাতার উপরে লাগান। শেড গাঢ় রঙের হলে চোখের বাইরের কোনায় একটু গাঢ় করে লাগান, তারপর আঙুল দিয়ে ভিতর দিকে মিলিয়ে দিন।
৪) চোখ বড়ো আর উজ্জ্বল দেখাতে নীচের পাতায় ন্যুড শেডের আইলাইনার পরতে পারেন।
৫) চোখের পাতা কার্ল করে এক বা দুই কোট মাস্কারা ব্যবহার করুন। এতে চোখ বড় ও সতেজ দেখাবে।
৬) অনেক সময়েই অনুষ্ঠানের আগে ভ্রু প্লাক করা হয় না। সময়ও পাওয়া যায় না। সেক্ষেত্রে আপনাকে বাঁচাতে পারে সাধের মাসকারা। ব্রাশ দিয়ে ভ্রুকে আলগা হাতে আঁচড়ে নিন। তার পরে ভ্রুর রেখা বরাবর ঠিক নীচে সাদা লাইনার লাগিয়ে আঙুলে করে মিশিয়ে নিয়ে উপরে ফেস পাউডার বা ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন।
ঠোঁটের রূপটান
মেকআপের আগে ঠোঁটে কনসিলার লাগান। কনসিলার যে কোনও ধরনের দাগছোপ তুলে দিতে পারে। আঙুল বা ব্রাশ দিয়ে ঠোঁটে কনসিলার লাগিয়ে নিতে হবে। এর উপর লিপস্টিক পরলে লিপস্টিকের আসল রং খুলে বেরোবে। একটু গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করা ভাল। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব সহজে বোঝা যাবে না।
ম্যাট আর গ্লসি লিপস্টিকের পাশাপাশি এখন বাজারে বেশ ভাল সাড়া ফেলেছে ক্রিম লিপস্টিকের নানান শেড। ঠোঁট সারাদিন আর্দ্র রাখে ক্রিম লিপস্টিক, আবার খুব বেশি চকচকও করে না।