রুক্ষ, ডগা ফাটা চুলের জন্য যত্ন প্রয়োজন। প্রতি দিনের ধুলোবালি, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাবে ক্ষতি হয় চুলের। সে জন্য নিয়মিত পরিচর্যা দরকার। কিন্তু, শুধু কি এতেই ভাল থাকবে চুল? চুল ঝরা বা রুক্ষ হয়ে পড়ার নানা কারণ থাকে।পর্যাপ্ত পানীয়ের অভাব, পুষ্টিকর খাদ্য বাদ পড়লেই এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। চুলের পুষ্টি ও বৃদ্ধির জন্য খুবই জরুরি প্রোটিন। আর প্রোটিন বলতে কেবল মাছ, মাংস নয়, ঠিক কী কী খেলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল হবে জেনে নিন।
চুলের বৃদ্ধির জন্য কোন কোন প্রোটিন খাবেন?
ডিম
ডিমে থাকা প্রোটিন চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে, রুক্ষ চুলকে মসৃণ করে এবং চুলের ঘনত্ব বাড়াতেও সাহায্য করে। ডিমে থাকে ভিটামিন বি১, বি২, বি৫, বি৭ বা বায়োটিন যা চুলের জন্য জরুরি। চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে বায়োটিনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বায়োটিন চুলের জরুরি প্রোটিন কেরাটিন তৈরিতে ভূমিকা নেয়, পাশাপাশি চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। ডিমের জিঙ্কও চুলের পুষ্টি ও বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে।
পালং শাক
আয়রন, ফোলিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ, সি এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস হল পালং শাক। এ ছাড়াও এতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যাসশিয়াম, যা চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রতি দিন খাবার পাতে পালং শাক যোগ করলে চুল পড়ার সমস্যা মিটতে পারে।
আরও পড়ুন:
মিষ্টি আলু
রাঙা আলুতে প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন এ, বি৬, ভিটামিন সি এবং ম্যাঙ্গানিজ়, পটাশিয়াম, কপারের মতো খনিজ যা চুলের পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। রাঙা আলু বিটা-ক্যারোটিনের ভাল উৎস যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি।
মাছ
চুল ভাল রাখতে মাছ খাওয়া জরুরি। কারণ, মাছে এমন অনেক উপাদান রয়েছে, যেগুলি চুল ভাল রাখে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড তার মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়াও মাছে রয়েছে ভিটামিন বি১২, যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
বাদাম এবং বীজ
কাঠবাদাম, আখরোট, চিয়া, তিসির বীজ— এই ধরনের খাবারগুলি নিয়ম করে খেলে চুল ঝরার পরিমাণ কমে। এই খাবারগুলিতে রয়েছে বায়োটিন এবং ভিটামিন বি, যা শুধু চুল প়ড়া কমায় এবং চুল মসৃণ করে।