বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি চলে এলে ত্বক কুঁচকে যাওয়া, বলিরেখার সমস্যা বাড়ে। দেখবেন, গাল ও গলার কাছে চামড়া ধীরে ধীরে কুঁচকে যাচ্ছে। মুখে বয়সের ছাপও পড়ছে। আর রজোনিবৃত্তির পরে ত্বকের নানাবিধ সমস্যা বাড়ে। তখন ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়, ফলে গালে লালচে আভা উধাও হতে থাকে। ত্বকে শুষ্ক ভাব বাড়ে। উন্মুক্ত রন্ধ্রের সমস্যাও বেড়ে যায়। ত্বকের ছিদ্রগুলি বড় হয়ে তাতে ধুলো-ময়লা, মৃতকোষ জমে র্যাশের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই এই বয়সে ত্বকের যত্ন নিতে পার্লারে গিয়ে অ্যান্টি-এজিং ট্রিটমেন্ট করানোর প্রয়োজন নেই, বরং ঘরোয়া কিছু ফেসপ্যাকেই মুশকিল আসান হতে পারে।
মুলতানি মাটির প্যাক
ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়লে র্যাশ বা ব্রণের সমস্যা দেখা যায়। ত্বকের পিএইচ-এর ভারসাম্য নষ্ট হয়। তা দূর করতে ২ চা-চামচ মুলতানি মাটির সঙ্গে ১ চা-চামচ গোলাপজল মিশিয়ে ভাল করে মুখে ও দুই হাতে মেখে নিন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার করলে ত্বক নরম থাকবে।
আরও পড়ুন:
ডিম-লেবুর প্যাক
উন্মুক্ত রন্ধ্রের সমস্যা বাড়লে একটি ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে এক চা-চামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ভাল করে মুখে মেখে নিন। ১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেললে ত্বকের রন্ধ্রে জমে থাকা ধুলো-ময়লা বেরিয়ে যাবে। লেবুর ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেন তৈরি করবে ফলে চামড়া টান টান হবে, বলিরেখার সমস্যা দূর হবে।
ওট্মিল-দইয়ের প্যাক
ওট্স ফাইবারে সমৃদ্ধ। এর ভিটামিন ও ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। ত্বকে ব্রণ-র্যাশ ও যে কোনও সংক্রমণও দূর করতে পারে। ওট্সের সঙ্গে প্রোবায়োটিক হিসেবে দই মেশালে তা ত্বকের প্রদাহ নাশ করে। ফলে ত্বকের জ্বালা, চুলকানি ভাব থাকলে তা দূর হবে। এই প্যাকের জন্য লাগবে ১ চা-চামচ ওট্স ও এক চা-চামচ দই। ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন। এই ফেসপ্যাক সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলেই ভাল ফল পাবেন।
পেঁপে-মধুর প্যাক
হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলেও ত্বকে কালচে ছোপ পড়ে। ইস্ট্রোজেনের মাত্রা হঠাৎ কমে গেলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। কেবল সানস্ক্রিন মেখে সমস্যার সমাধান না হলে পেঁপে ও মধুর প্যাক ব্যবহার করে দেখতে পারেন। পাকা পেঁপে বেটে তার ২ চামচের মতো নিয়ে সঙ্গে ১ চা-চামচের মতো মধু মিশিয়ে মুখে মাখতে হবে। ১৫ মিনিট রেখে ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন।