‘খেলব হোলি রং দেব না’, তা কি আর হয়? রং শুকনো হোক বা তরল, ভেষজ হোক বা রাসায়নিক দেওয়া— দোলের দিন রং লাগবেই গায়ে। আর এখনকার রঙে যা রাসায়নিক মেশানো থাকে, তাতে ত্বকের সমস্যা হবেই। যাঁদের ত্বক বেশি স্পর্শকাতর তাঁদের সমস্যা আরও বেশি। রং লাগার পরে ত্বকে র্যাশ-ফুস্কুড়ি হতে পারে। ত্বক জ্বালাও করতে পারে। তাই দোলে যদি রং খেলতেই হয়, তার আগে থেকেই ত্বকের যত্ন নেওয়া ভাল। এমন কিছু প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না, যাতে কিছু বিশেষ ধরনের রাসায়নিক মেশানো আছে। সেগুলি কী কী, জেনে রাখা ভাল।
সাবান, ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোবেন না
অনেকেই নিয়মিত ফেসওয়াশ দিয়ে ঘষে ঘষে মুখ পরিষ্কার করেন। দোলের কিছু দিন আগে থেকে ফেসওয়াশের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ক্লিনজ়িং মিল্ক ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে বেশি রাসায়নিক দেওয়া নয়। সাবান দিয়ে একেবারেই মুখ ধোবেন না। সাবানের ক্ষার ত্বকের কোলাজেন নষ্ট করে দেয়। পিএইচের ভারসাম্যও নষ্ট হয়। বরং পরিষ্কার জলে মুখ ধোয়া ভাল। অ্যালো ভেরা বা ভেষজ কোনও তেল বা ক্রিম ব্যবহার করতে পারলেও ভাল হয়।
আরও পড়ুন:
স্ক্রাবিং একেবারেই নয়
দোকান থেকে কেনা স্ক্রাবারের ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বক খুব শুকিয়ে থাকবে, তার উপরে রঙের রাসায়নিক লাগলেই ত্বকে জ্বালা, র্যাশ হতে পারে। দোলের আগে এমন কোনও প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না যাতে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড বা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড আছে। এগুলি ত্বককে আরও স্পর্শকাতর করে তোলে।
অ্যালকোহল দেওয়া প্রসাধনী নৈব নৈব চ
এমন কোনও টোনার বা ক্লিনজ়ার ব্যবহার করবেন না যাতে অ্যালকোহল মেশানো আছে। দেখে নেবেন টোনারে ইথানল, আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল মেশানো আছে কি না। তেমন টোনার দোলের আগে ত্বকে ভুলেও লাগাবেন না। বদলে গোলাপজল দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। কাঁচা দুধ বা দুধের সর দিয়ে মুখ ধুলেও কালচে দাগ উঠে যাবে।
ব্লিচ করবেন না
দোলের আগে ব্লিচ করবেন না। ব্লিচের মধ্যে রয়েছে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড এবং অ্যামোনিয়ার মতো রাসায়নিক। যেগুলি ত্বকে প্রদাহজনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। রেটিনল বা রেটিনয়িক অ্যাসিড আছে এমন ক্রিম বা প্রসাধনী মুখে না মাখাই ভাল। দোলের আগের দিন খুব বেশি ভিটামিন সি দেওয়া প্রসাধনী ব্যবহার করবেন না।