এসআইআর-এর শুনানিতে হেনস্থার কারণে আত্মহত্যা করেছেন বৃদ্ধ পিতা। এমন অভিযোগ তুলে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) মনোজ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন পুত্র। সোমবার পুরুলিয়ার পাড়া থানা এলাকায় দুর্জন মাঝি নামে আদিবাসী সম্প্রদায়ের এক বৃদ্ধ এসআইআর-এর শুনানির জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। পরে বাড়ির কিছু দূরে রেললাইন থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, দুশ্চিন্তার কারণেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
বৃদ্ধের পুত্র কানাই মাঝি পুরুলিয়ার পাড়া থানায় জ্ঞানেশ এবং মনোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ দায়ের হয়েছে কমিশনের অন্য আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও। কানাইয়ের দাবি, ২০০২-এর ভোটার তালিকায় তাঁর পিতা দুর্যনের নাম ছিল। কিন্তু কমিশনের ওয়েবসাইটে ‘কিছু যান্ত্রিক গোলযোগের’ কারণে অনলাইনে প্রকাশিত তালিকায় দুর্জনের নাম ছিল। বিএলও-কে এনুমারেশন ফর্ম জমা দেওয়ার সময় দুর্জন কমিশন নির্ধারিত পরিচয়পত্রের নথিও জমা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন কানাই। তাঁর অভিযোগ, তার পরেও কমিশনের পাঠানো নোটিসে বলা হয়, উনি কোনও নথি জমা দেননি। কমিশনের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে অভিযোগ করেছেন কানাই।
দুর্যনের হঠাৎ মৃত্যুর জন্য কমিশনের অসহযোগিতা, ইচ্ছাকৃত অবহেলাকে দায়ী করেছেন তাঁর পুত্র। সোমবার ৮২ বছরের বৃদ্ধ দুর্যনের দেহ উদ্ধার হয় স্থানীয় রেললাইন থেকে। তাঁর পুত্র এবং স্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, সোমবার শুনানির জন্যই এসআইআর কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন তিনি। টোটো ভাড়া করে যাবেন ভেবেছিলেন। কিন্তু মোড়ে গিয়ে অনেক খুঁজেও টোটো পাননি। কখন শুনানিতে যাবেন, সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। পরে বাড়ির কিছু দূরে রেললাইন থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। বৃদ্ধ ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করছে পরিবার।
জ্ঞানেশ এবং মনোজের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বা বিএনএস-এর ১০৮ এবং ৬১(২) ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কানাই। পুলিশের কাছে অভিযোগটি এফআইআর হিসাবে গ্রহণ করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে পুুলিশের কাছে বৃদ্ধ পিতার মৃত্যুর বিচার চেয়েছেন কানাই।