রূপচর্চায় লেবু ব্যবহার করা কি ঠিক? ছবি: শাটারস্টক
শীত হোক কিংবা গরম, জেদি ব্রণের সমস্যা কিছুতেই কমছে না? ব্রণ চলে গেলেও রয়ে যায় কালচে দাগ। ভাবছেন তো এত যত্ন নেওয়ার পরেও কেন ব্রণের সমস্যা কমে না? দৈনন্দিন জীবনে খাওয়াদাওয়া, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, দূষণ— সব কিছুর উপরই নির্ভর করে ত্বকের স্বাস্থ্য। তাই ত্বক ভাল রাখতে চাইলে আপনাকে এখনই জীবনচর্যায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।
ব্রণের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকেই নামী-দামি প্রসাধনীর পাশাপাশি সমাজমাধ্যমে দেখে ঘরোয়া কিছু টোটকাও ব্যবহার করেন অনেকে। সমাজমাধ্যমে দেখে অনেকেই রূপচর্চা করেন। সব ধরনের প্রসাধনী সকলের ত্বকের জন্য মোটেও ভাল নয়। বিশেষত, যাঁদের ত্বকে ব্রণের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের রূপচর্চার সামগ্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সজাগ থাকতে হয়। না হলে ত্বকের বারোটা বাজতে সময় লাগবে না!
ব্রণের সমস্যা থাকলে রূপচর্চায় কোন কোন উপাদান এড়িয়ে চলবেন?
১) ভিটামিন ক্যাপসুল: সমাজমাধ্যমে অনেক ভিডিয়োতে দেখা যায় ফেসপ্যাকে ভিটামিন সি, এ ও ই-র ক্যাপসুল ব্যবহার করা হয়। এই সব ভিটামিন ত্বকের জেল্লা ফেরাতে দারুণ উপকারে এলেও ক্যাপসুলের মধ্যে থাকা তরলের মাপে হেরফের হলে উল্টে ত্বকের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ভিটামিন সি, এ ও ই-যুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করাই শ্রেয়।
২) লেবু: রূপচর্চার সময়ে ফেসপ্যাক তৈরির ক্ষেত্রে অনেকেই লেবু ব্যবহার করেন। সেই প্যাক মুখে লাগালে মুখের কালো দাগছোপ দূর হয়, ত্বকের জেল্লা ফেরাতেও কাজে আসে। ফেসপ্যাকে লেবুর রস ব্যবহারে অনেকের ক্ষেত্রেই কাজ দেয়। তবে শুধু লেবুর রস মুখে লাগলেই বিপদ। লেবুর রসের প্রকৃতি অত্যন্ত অ্যাসিডধর্মী। মুখে সরাসরি লেবুর রস প্রয়োগ করলে আপনার ত্বক পুড়েও যেতে পারে।
৩) টুথপেস্ট: সমাজমাধ্যমের অনেক ভিডিয়োতেই দেখবেন চটজলদি ব্রণ কমাতে টুথপেস্টের ব্যবহার করা হয়। ত্বকে টুথপেস্ট লাগালে মেলানিন বেশি তৈরি হয়, ফলে জায়গাটা কালো হয়ে যেতে পারে। তাই মুখে কখনও টুথপেস্ট লাগানো উচিত নয়। ব্রণের উপরে টুথপেস্ট লাগালে উপকার হয়, এমন ধারণাও ভুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy