ব্রণ খুবই নাছোড়বান্দা। এক বার হলে আর যেতেই চায় না। মুখে, কপালে, থুতনিতে ছোট ছোট ফুস্কুড়ি, গুটি গুটি দাগ কার ভাল লাগে? ব্রণ যে শুধু মুখেই হবে, তা নয়। মাথার তালুতে, গলায়, পিঠে, কাঁধে সর্বত্রই তার আনাগোনা। মুখে যেমন ব্রণ হয়, তেমনই হয় কাঁধ ও পিঠের উপরের অংশেও। সে বড় জ্বালা। ঘাম যাঁদের বেশি হয়, তাঁরা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। ঘেমে গেলে ব্রণ ছড়িয়ে পড়ে পিঠেও। তার সঙ্গে জামাকাপড়ের ঘষা লাগলেই চুলকানি, যন্ত্রণা, র্যাশ দেখা দেয়।
পিঠের ব্রণ সারবে কী ভাবে?
১) টি ট্রি তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, যা ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। রোমকূপের মুখে ময়লা, ত্বকের মৃত কোষ জমতে জমতে সেখানে ফুসকুরি জন্মায়। ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণও থেকেও চুলকানি, র্যাশ দেখা দিতে পারে। টি ট্রি তেল নিয়মিত লাগালে এই সমস্যা দূর হয়।
২) টম্যাটো বেটে নিয়ে তার সঙ্গে ২ চামচ চালের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এ বার মিশ্রণটি পিঠে লাগিয়ে নিয়ে ২০ মিনিট রাখতে হবে। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। পিঠের লালচে ভাব দূর হবে, ব্রণর সমস্যা কমবে। রোদে পুড়ে পিঠে দাগছোপ হলে তা উঠে যাবে।
আরও পড়ুন:
৩) কাঁচা হলুদ বেটে নিয়ে তার সঙ্গে বেসন মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ বার মিশ্রণটি পিঠে লাগিয়ে মিনিট পনেরো রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পিঠের ব্রণ তাড়াতাড়ি কমে যাবে।
৪) বাইরে থেকে ঘেমেনেয়ে ফেরার পর শুধু পাখার তলায় বসে গা শুকিয়ে নিলেই হবে না। একেবারে স্নান করে ফেলতে হবে। পারলে স্নানের জলে কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। তাতেও ব্রণের সমস্যা আটকে রাখা যায়।
৫) ত্বকের যে কোনও সংক্রমণ, প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে অ্যালো ভেরা। ত্বকে জ্বালাপোড়া, চুলকানি, র্যাশ, ব্রণের সমস্যায় অ্যালো ভেরা ব্যবহার করাই যায়। অ্যালো ভেরা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।