প্রতীকী চিত্র
কেটে গেলে বা ছড়ে গেলে, যে কারণেই রক্তপাত হোক না কেন, তুলো আর ব্যান্ডেজের দরকার পড়বেই। তুলো দিয়ে রক্ত বন্ধ করে ব্যান্ডেজের পট্টি বেঁধে দেওয়া প্রাথমিক চিকিৎসার মধ্যেই পড়ে। আচমকা কোনও জায়গা কেটে গিয়ে রক্ত বেরোলে দোকান থেকে ব্যান্ডেড কিনে তাড়াতাড়ি ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিই আমরা। তার পর দীর্ঘ সময় ধরে সেই ব্যান্ডেড লাগানোই থাকে। এমনও হয় যে, একটা গোটা দিন একই ব্যান্ডেড ক্ষতের জায়গায় লাগিয়ে রাখি আমরা। পরদিন দেখা যায়, ব্যান্ডেড তো বটেই, ক্ষতের জায়গাটাও কালো হয়ে গিয়েছে। সেখানে চুলকানি হচ্ছে। এর থেকেই সাবধান করছেন ত্বক বিশেষজ্ঞেরা।
কেটে গেলে বা ছড়ে গেলে ব্যান্ডেড লাগাতেই হয়। অনেকটা জায়গা জুড়ে কেটে গিয়ে রক্ত বেরোতে থাকলে সেখানে তখন ব্যান্ডেজ করা হয়। ত্বক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেড লাগান, কিন্তু সময়ান্তরে তা বদলেও দিন। ব্যান্ডেডের আঠায় এমন উপাদান থাকে, যা দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষতস্থানে চেপে থাকলে বা রক্তে মিশতে থাকলে আদতে ক্ষতিই করবে।
ক্ষতস্থানে একটানা ব্যান্ডেড লাগানো থাকলে সেখানে বারে বারে জল লেগে সংক্রমণ হতে পারে। ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেডের আঠার উপাদান মিশে গিয়ে ফুসকুড়ি, চুলকানি হতে পারে। অনেকের আবার ব্যান্ডেডের আঠা থেকে অ্যালার্জি হতেও দেখা গিয়েছে।
ব্যান্ডেডের আঠা থেকে অ্যালার্জি হলে কী করবেন?
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যালার্জির জায়গায় অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম লাগানো যেতে পারে। ব্যান্ডেড লাগানোর জায়গায় চামড়া শুকিয়ে টেনে গেলে সেখানে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন।
আঠালো ব্যান্ডেডের পরিবর্তে ব্যাবহার করতে পারেন সাধারণ গজ কিংবা পরিষ্কার কাপড়।
হাইপোঅ্যালার্জেনিক টেপও লাগানো যেতে পারে ক্ষতের জায়গায়।
এই প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। ব্যান্ডেড থেকে অ্যালার্জি হলে কী করা উচিত তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল। ক্ষতস্থানে আঠালো ব্যান্ডেডের বদলে কী লাগালে ভাল হবে সেটাও চিকিৎসকের থেকে জেনে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy