খুব কম বয়স থেকে পাকা চুল ঢাকতে কৃত্রিম রং করাতে হচ্ছে? তা-ও দু’মাস অন্তর পাকা চুলের গো়ড়া উঁকি দিচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলেন, ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে চুল পাকে জিনগত কারণে। বাকিদের ক্ষেত্রে পরিবেশ একটা বড় কারণ। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি, দূষণও চুল পাকার অন্যতম কারণ। আধুনিক জীবনযাত্রায় খাওয়াদাওয়ার মান খারাপ হয়েছে। তার উপরে জুড়েছে ধূমপান, মদ্যপানের মতো অভ্যাস যা শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়িয়ে তুলছে। এ ছাড়া কয়েকটি ক্ষেত্রে পুষ্টির ঘাটতি, ঘুমের ঘাটতি, থাইরয়েডের সমস্যাও চুল পাকার কারণ হতে পারে।
পাকা চুল কালো করতে বাজারচলতি অনেক রকম ডাই বেরিয়ে গিয়েছে। সেই সব কৃত্রিম রহে এত পরিমাণে রাসায়নিক মেশানো থাকে যা চুলের ক্ষতি করে। এই সব রাসায়নিক থেকে মাথার ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট হয়। মেলানিন রঞ্জকেও তারতম্য ঘটে। ফলের চুলের ক্ষতি হতে থাকে। কেবল চুলের ক্ষতি হয় তা নয়, এই সব রাসায়নিক দেওয়া রং থেকে চর্মরোগও হতে দেখা যায়। চিকিৎসকেরা বলেন, কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিসের একটি কারণই হল রাসায়নিক দেওয়া রঙের ব্যবহার।
পাকা চুলের সমস্যা চিরতরে দূর করতে হলে ঘরোয়া উপকরণেই ভরসা রাখা যেতে পারে। তার জন্য সর্ষের তেল ব্যবহার করতে পারেন। সর্ষের তেলের বহু গুণ। আয়রন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন এ, ডি, কে, ই সমৃদ্ধ সর্ষের তেল চুল পড়া রোধ করে। সর্ষের তেলে থাকা জিঙ্ক, বিটা ক্যারোটিন ও সেলেনিয়াম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
চুল কালো করতে সর্ষের তেল কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
উপকরণ
এক কাপ সর্ষের তেল
১ চামচ কালোজিরে
১ চামচ আমলকির পাউডার
প্রণালী
লোহার পাত্র থাকলে সবচেয়ে ভাল হয়। তাতে এক কাপ সর্ষের তেল দিয়ে কম আঁচে ফোটান। কালোজিরে ভাল করে গুঁড়ো করে নিন। বাড়িতে আমলকি থাকলে তা আগে থেকেই শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখুন। সর্ষের তেলের সঙ্গে কালোজিরে ও আমলকির গুঁড়ো মিশিয়ে ভাল করে ফোটাতে হবে। কিছু ক্ষণ পরেই দেখবেন তেলের রং কালো হয়ে গিয়েছে। এই তেল ভাল করে চুলে মালিশ করে সারা রাত রেখে দিতে পারলে ভাল হয়। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। সপ্তাহে দু'বার ব্যবহার করলেই পাকা চুলের সমস্যা দূর হবে।