কোরিয়ান ১০ ধাপের ত্বকচর্চার প্রচলনও যেমন নতুন প্রজন্মের হাত ধরেই, তেমনই বিপরীতমুখী প্রথার সূচনাও একই প্রজন্মের দ্বারাই। ব্যস্ত জীবনে ৫-১০ ধাপ মেনে রূপচর্চা আদৌ বাস্তবসম্মত নয়। আর সেখানেই বডি পলিশিং জেনারেশন জ়েডের জন্য একটি সহজ, দ্রুত ও ফলপ্রসূ কৌশল হিসেবে জায়গা পেয়েছে। ব্যস্ত যাপনের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। ধাপ কেবল একটিই।
বডি পলিশিংয়ের নিয়ম। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
ত্বক উজ্জ্বল করার সহজ ও দ্রুত উপায় এই বডি পলিশিং। এই পদ্ধতিতে ত্বকের মৃত কোষ দূর করা হয়, ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করা হয়। অনেকেই ভাবতে পারেন, এ তো বডি স্ক্রাবিং! কিন্তু পলিশিং ও স্ক্রাবিংয়ের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু ফারাক। বডি স্ক্রাবিংয়ের মূল উদ্দেশ্য যেমন ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ ও পরিষ্কার করা, তেমনই পলিশিংয়ের আসল লক্ষ্য হল মৃত ত্বক অপসারিত করে ত্বককে হাইড্রেট করা ও পুষ্টির জোগান দেওয়া। ত্বককে কন্ডিশনিং করা বা ময়েশ্চারাইজ় করার প্রয়োজনে পলিশিং বেশি কার্যকর। এতে ত্বক পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালনও উন্নত হয়। ফলে শরীরের তেলচিটে ভাব কমানোর সঙ্গে কোষের পুনর্জন্মকেও সম্ভব করে। সাধারণ স্ক্রাবের তুলনায় আরও কার্যকর, কারণ এতে ত্বকের গঠন উন্নত হয়। মানে, এক ধাপে হাজারো উপকার। তাই নতুন প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এই কৌশল।
যদিও এই পদ্ধতি ত্বকের জন্য উপকারী, তা-ও ত্বকের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত পণ্য বেছে নেওয়া উচিত। যদি ত্বকে কোনও সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে অবশ্যই চর্মরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। রোজ রোজ পলিশ করলে কিন্তু ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। তাই সপ্তাহে এক-দু’বারই যথেষ্ট।
আরও পড়ুন:
বডি পলিশ কেনার সময়ে কোন কোন উপকরণের দিকে নজর দেবেন—
এক্সফোলিয়েশনের জন্য: ডেড সি সল্ট বা চিনির মতো এক্সফোলিয়েন্টের সঙ্গে ল্যাক্টিক অ্যাসিডের মতো মৃদু রাসায়নিকের মিশ্রণ ভাল কাজ দেয়।
হাইড্রেশনের জন্য: নায়াসিনামাইড, স্কোয়ালেন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড এবং বিটেইনের মতো উপকরণ থাকলে সেটিই বেছে নিন।
উদ্ভিজ্জ উপকরণ: সেন্টেলা এশিয়াটিকা, লিকোরাইস রুট এবং পোর্টুলাকার মতো নির্যাস থাকলে ভাল। এক দিকে নারকেল দুধের গুঁড়ো, মারুলা তেল এবং শিয়া বাটার, অন্য দিকে বাকুচিওল, রেসভেরাট্রল এবং আরবুটিনের মতো উপাদানগুলিও থাকাও কাম্য।