শরীরের রূপান্তরের কারণে অভিনেত্রী সান্য মালহোত্র বরাবরই আলোচনায় থাকেন। চরিত্রের প্রয়োজনে ওজন বাড়ানো বা কমানো, তাঁর কাছে নতুন বিষয় নয়। এমনিতে সান্য যে ফিটনেসের বিষয়ে নিষ্ঠাবান, তা তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় চোখ রাখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু সম্প্রতি ওজনএবং পেটের মেদ হ্রাসের নেপথ্যে যে পরিশ্রম রয়েছে, সেই গল্পই বললেন তাঁর ফিটনেস প্রশিক্ষক ত্রিদেব পাণ্ডে। অনেকের কাছেই তা হয়ে উঠতে পারে অনুপ্রেরণার উৎস। ‘সনি সংস্কারী কী তুলসী কুমারী’ ছবির শুটিংয়ের আগে সান্যকে শারীরিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
সান্যে যে এক ধাক্কায় অনেক ওজন কমিয়ে ফেলেছেন, তা স্পষ্ট হয় ত্রিদেবের করা ভিডিয়ো থেকে। গত ৮ বছর ধরে সান্যের সঙ্গে কাজ করছেন ত্রিদেব। ভিডিয়োর ক্যাপশন থেকে জানা যায়, চরিত্রের প্রয়োজনে নানা সময়ে ওজন বাড়াতে বা কমাতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। সান্য এই রূপান্তরের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আর তাই লক্ষ্যে পৌঁছনোও সম্ভব হয়েছে।
সান্যের শরীরচর্চা। ছবি: ত্রিদেব পাণ্ডের ভিডিয়ো থেকে।
ত্রিদেব তাঁর ভিডিয়োয় জানান, দীর্ঘ দিন ধরে এমনিতেই নিয়মিত ব্যায়াম করেন অভিনেত্রী। তাঁর খাদ্যাভ্যাসও নিয়ন্ত্রিত। বাড়িতে বানানো সাদামাঠা খাবারই খান তিনি। শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপন করে আসছেন বহু দিন ধরে। কিন্তু নায়িকার ওজন ছিল ৫৬ কেজি। উচ্চতা অনুসারে যা খানিক বেশি বটে। উপরন্তু পেটে মেদ জমেছিল। কিন্তু পেটখোলা পোশাক পরে শুট করতে হত এই ছবিতে। মোদ্দা কথা, চরিত্রের জন্য আরও একটু রোগা দেখাতে হত নিজেকে। আর হাতে সময় ছিল মাত্র তিন মাস।
শরীরচর্চার রুটিনে ছিল ভারোত্তোলন, পুশ-আপ, কার্ডিয়ো ট্রেনিং, স্ট্রেচিং, হেডস্ট্যান্ডের মতো কঠিন কঠিন ব্যায়াম। এই প্রক্রিয়ায় সান্য নিজের খাদ্যাভ্যাসেও বদল এনেছেন। তিনি ভাজাভুজি, মিষ্টি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার পুরোপুরি বাদ দিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
ত্রিদেব বলেন, ‘‘সবাইকে আমার পরামর্শ, বাস্তবসম্মত, ছোট ছোট লক্ষ্য তৈরি করতে হবে, আর কোনও বিশেষ ব্যায়াম শিখুন নতুন করে। এটাই আসল। ওজন কমানো নয়।” তাঁর মতে, সান্যের এই পরিবর্তন শুধুমাত্র ওজন কমানোর গল্প নয়, বরং এটি এক মানসিক রূপান্তরেরও প্রতিফলন। নিয়মশৃঙ্খলা, আত্মবিশ্বাস আর নিজের প্রতি দায়িত্ববোধই তাঁকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে।