এক দিকে যখন সমাজমাধ্যমে ঘরোয়া টোটকার প্রচার বাড়ছে, অভিনেতা রণবীর কপূরের দিদি ঋদ্ধিমা কপূর সাহানি বলে বসলেন, ‘‘ঘরোয়া টোটকায় ভরসা নেই আমার। ব্যবহারই করি না। আমি দোকান থেকে কেনা সামগ্রী এবং ক্রিমেই টাকা খরচ করি।’’
জনপ্রিয় মত বলছে, দোকানের সামগ্রীতে ভর্তি রাসায়নিক। সে সব বেশি ব্যবহার করলে ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। অন্য দিকে বাড়ির হেঁশেলের মশলাপাতি, শাকসব্জি অথবা গাছগাছালির শিকড়-পাতাকে নানা ভাবে ব্যবহার করা যায় ত্বকে ও চুলে। তাতে উপকার মিলতে পারে। ঘরোয়া টোটকা নিয়ে চারদিকে এখন হইহই। এমনই এক সময়ে কপূর পরিবারের মেয়ে ঋদ্ধিমা জনপ্রিয় মতের বিপরীতে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন। ত্বকচর্চা, কেশচর্চার বিষয়ে তাঁর মতামত একেবারে ভিন্ন।
৪৪ বছরের তারকাসন্তান বলছেন, ‘‘খুব ছিমছাম, বাহুল্যবর্জিত ত্বকচর্চায় বিশ্বাসী আমি। এই বয়সে এসে আমার মিথ্যে বলার দরকার নেই। আমি সত্যিই কোনও ঘরোয়া প্যাক মাখি না। ক্রিম কিনি, এবং মাখি। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে শুতে যাওয়ার আগে ত্বকচর্চা করি। সুতরাং দু’বার ত্বকের যত্ন নিই মাত্র।’

চুলে তেল মেখে শ্যাম্পু করার যে রীতি প্রাচীন কাল থেকে ভারতে চলে আসছে, তার সঙ্গে অভ্যস্ত নন ঋদ্ধিমা। ছবি: সংগৃহীত।
নীতু কপূরের মেয়ের কথায় জানা গেল, তিনি সকালে মুখ ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজ়ার এবং সানস্ক্রিন মাখেন। রাতেও দোকানের সামগ্রী দিয়েই হালকার উপর ত্বকচর্চা করে নেন। চুলের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রেও ঘরোয়া কৌশলে বিশ্বাস নেই ঋদ্ধিমার। চুলে তেল মাখার যে রীতি প্রাচীন কাল থেকে ভারতে চলে আসছে, তার সঙ্গে অভ্যস্ত নন ঋষি কপূরের মেয়ে। তিনি কেবল ভাল মানের শ্যাম্পু ব্যবহার করেন। তার পর কন্ডিশনার এবং সিরাম মেখে কেশচর্চার পালা চুকিয়ে ফেলেন।
আরও পড়ুন:
তাঁর মা, নীতুর সময়ে সানস্ক্রিনের চল ছিল না। ঋদ্ধিমা বলছেন, ‘‘মা-ও কখনও সানস্ক্রিন ব্যবহার করেননি, আমিও খুব সম্প্রতি সানস্ক্রিন ব্যবহার করি। কিন্তু মেয়েকে (সামারা) আমি নিয়ম করে সানস্ক্রিন মাখতে বলি। দিনে বেশ কয়েক বার ব্যবহার করে আমার মেয়ে।’’
১৪ বছরের মেয়ে সামারা কিন্তু নতুন প্রজন্মের ধারা এবং ধারণার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে ভালবাসে। সমাজমাধ্যমের অনুরাগী বলে কথা। সামারা বরং তার মাকে ঘরোয়া টোটকা ব্যবহারের জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করে। ঋদ্ধিমার কথায়, ‘‘মেয়ে আমায় ঘরে বানানো বিভিন্ন ফেস প্যাক মাখার উপদেশ দেয়। আমি বলি, তোমার ত্বকের জন্য ভাল হলে তুমি করো। আমি করব না।’’