তেষ্টা পেলে দোকান থেকে জলের বোতল কিনেই চুমুক দেন। অনেকেই সেই বোতল বাড়িতেও নিয়ে আসেন। কিন্তু বোতলের ছিপির রং কোনওটা সবুজ, কোনওটা নীল, কালো কেন, তা নিয়ে মনে প্রশ্ন জাগে কি?
জলের বোতলের ছিপির রং অর্থবহ হতে পারে, এমন ভাবনা সচরাচর মাথায় আসে না। কিন্তু সমাজমাধ্যমের কোনও কোনও পোস্টে দাবি করা হয়েছে, এগুলি অর্থবহ। যেমন প্রস্রবণের জল থাকলে অর্থাৎ এতে যদি খনিজ মিশ্রিত থাকে, তা হলে জলের বোতলের ঢাকনা বা ছিপি হবে নীল। কোনও বিশেষ গন্ধ যুক্ত হলে জলের বোতলের ছিপি হবে সবুজ। ইলক্ট্রোলাইট ও খনিজ মিশ্রিত পানীয় থাকলে সেই জলের ঢাকনা হবে লাল। সাদা ছিপির বোতলে থাকে পরিশোধিত পানীয় জল।
আরও পড়ুন:
কিন্তু সত্যিই কি উপরোক্ত দাবি ঠিক? রাস্তাঘাটে নীল ছিপির জলের বোতল মেলে সহজেই। সবুজ ঢাকনার জলের বোতলও বিক্রি হয় প্রায়ই। কিন্তু সত্যি কি নীল জলের ঢাকনার বোতলে প্রস্রবণের জল থাকে? নিয়মিত যাঁরা জল কেনেন, তাঁরা এর উত্তর জানেন।
আমেরিকার জলের বোতল বিক্রয়কারী দুই সংস্থা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছে, জলের বোতলের ছিপির রং নিয়ে এমন কোনও নীতি বা নির্দেশিকা নেই। এ দেশেও যে, জলের বোতলে প্রস্রবণের জল দেওয়া হয় বা জলে কোনও গন্ধ বা ফ্লেভার থাকলে তার ঢাকনা নীল বা সবুজ হয়, তা কিন্তু নয়। বিভিন্ন সংস্থাই বোতলের ছিপির রং বেছে নেন ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে। নেপথ্যে কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশিকা থাকে না। যেমন ইটালির একটি সংস্থা নীল ছিপির বোতলে স্পার্কলিং ওয়াটার বিক্রি করে। ভারতেও নীল ছিপির বোতলে সাধারণ মিনারেল ওয়াটারই মেলে। কোনও কোনও সংস্থা এই রকম কোনও নিয়ম মানতে পারেন বটে, তবে বেশির ভাগ সংস্থাই যে এমন নিয়ম মানে না, তা বোতলের জল খেলেই বোঝা যায়।