বিকিনি কিংবা লেহঙ্গা, সব ধরনের পোশাকেই সমান মানানসই করিশ্মা। ছবি: সংগৃহীত।
এ বছর জুন মাসে ৪৯-এ পা দিয়েছেন করিশ্মা কপূর। এই বয়সেও অভিনেত্রীর ফিটনেস এবং ত্বকের জেল্লা যথেষ্ট ঈর্ষণীয়। বহু দিন হল বড় পর্দায় তাঁকে দেখা যায়নি। শেষ বার ২০১৯ সালে ‘জ়িরো’ ছবিতে বিশেষ ভূমিকায় করিশ্মাকে দেখা গিয়েছিল। তবে পর্দায় দেখা না দিলেও, জিমের বাইরে হোক কিংবা পারিবারিক কোনও অনুষ্ঠানে, করিশ্মা প্রায়ই দেখা দেন। বয়স ধরে রাখা সহজ নয়। কিন্তু করিশ্মা যে সে ক্ষেত্রে সফল, ৫০-এর দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে নায়িকার ছিপছিপে নির্মেদ চেহারা আর টানটান ত্বক তার প্রমাণ।
বিকিনি কিংবা লেহঙ্গা, সব ধরনের পোশাকেই সমান মানানসই করিশ্মা। কম বয়সের উচ্ছলতা শুধু তার মনে নয়, চেহারাতেও সমান ভাবে রয়েছে। দৈনন্দিন জীবনে কী এমন রুটিন মেনে চলেন অভিনেত্রী? শরীরচর্চা না কি ডায়েট, কিসের উপর বেশি ভরসা তাঁর? করিশ্মা একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, অনেক দিন হল শুটিং ফ্লোরে যাননি। ফলে আগের চেয়ে ব্যস্ততা কিছুটা কমেছে। এই ফাঁকা সময়টা তিনি কাজে লাগাচ্ছেন শরীরচর্চা করে। নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া তো তিনি করেনই, তবে তার পাশাপাশি শরীরচর্চাতেও সমান নজর তাঁর। কেমন করিশ্মার ফিটনেস রুটিন?
জিমে ঘাম ধরাতে ভালবাসেন করিশ্মা। তাই দিনের অধিকাংশ সময় জিমেই কাটান তিনি। ওজন তোলা, ট্রে়ডমিলে হাঁটা তো আছেই সেই সঙ্গে এইচআইআইটিও করেন। তবে জিম থেকে ফেরার পর যে শরীরচর্চায় ইতি টানেন তিনি, তা কিন্তু নয়। বরং নিয়ম করে দিনের একটা সময় হাঁটতে যান তিনি। মাঝেমাঝেই ছুটি কাটাতে বিদেশে পাড়ি দেন করিশ্মা। তবে বিদেশ-বিভুঁইয়ে গিয়েও শরীরচর্চায় ছেদ পড়ে না। সমুদ্রসৈকতে কিংবা হোটেলের ব্যলকনিতে, যোগাসনরত করিশ্মার ছবি তাঁর ইনস্টাগ্রাম ঘাঁটলেই চোখে পড়বে।
শরীরচর্চার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়া নিয়েও খুঁতখুঁতে তিনি। সকাল থেকে শুরু করে রাত, খাওয়াদাওয়ায় নিয়ম মেনে চলেন তিনি। অভিনেত্রীর সকালের জলখাবারে থাকে কাঠবাদামের দুধ, অমলেট, ড্রাই ফ্রুটস এবং চিয়া বীজ। সেই সঙ্গে মরসুমি বিভিন্ন ফল। বিশেষ করে বেরি। দুপুর এবং রাতেও বাড়ির খাবারই খান তিনি। তবে মাঝেমাঝে কিন্তু নিয়মও ভাঙেন করিশ্মা। বোন করিনাকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন রেস্তরাঁর খাবার খেতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy