নতুন অতিথির যত্ন। ছবি: সংগৃহীত।
মা হওয়ার মুহূর্তটি সব মেয়ের কাছেই আলাদা। একরত্তির মুখ দেখা মাত্রই প্রসবের সমস্ত যন্ত্রণা ভুলে যান মায়েরা। তবে সেই আনন্দের সঙ্গে মিশে থাকে একরাশ ভয়। তুলোর মতো নরম, ছোট্ট নতুন প্রাণটির যত্ন নেওয়া খুব সহজ নয়। প্রথম বার মা-বাবা হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের কাছে বিষয়টি আরও কঠিন। হাসপাতালে থাকাকালীন তোয়ালে মোড়া খুদেকে খাওয়ানো, যত্ন করার মতো বিষয়টি কঠিন মনে না হলেও বাড়ি ফেরার পর রীতিমতো হিমসিম খেতে হয়। বাচ্চার দেখাশোনা করার জন্য অনেকেই সহায়িকা রাখেন। আবার, অনেকেই নিজের হাতে বাচ্চার সব কাজ করতে চান। কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই সে সব কাজ সহজ হয়।
১) নতুন অতিথিকে দেখতে প্রতিদিনই কেউ না কেউ বাড়িতে আসবেন। শিশু যে ঘরে রয়েছে, সেখানে যাওয়ার আগে বা কোলে নেওয়ার আগে তাঁদের পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। প্রয়োজনে মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার হাতের কাছে রাখতে হবে।
২) খুদের পোশাক নির্বাচনের বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে নতুন মা-বাবাকে। ছ’মাস পর্যন্ত বাইরের আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না সদ্যোজাতরা। তাই ঠান্ডা লাগা বা ঘেমে যাওয়া দেখে, বা পরিস্থিতি অনুযায়ী পোশাক এ দিক ও দিক করতে হয়।
৩) কয়েক মাসের শিশুকে নিয়ে বাইরে বেরোতে বারণ করেন বড়রা। তবে রুটিন চেকআপ, ভ্যাক্সিনেশন ইত্যাদির জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতেই হয়। নিজেদের গাড়ি থাকলে ভাল। গণপরিবহনে চাপলে সতর্ক হয়ে বেরোনোই ভাল।
৪) সদ্যোজাতদের সাধারণত ২০ থেকে ৪৫ মিনিট অন্তর স্তন্যপান করাতে হয়। সেই সময় বুঝে মায়েদের নিজের কাজ গুছিয়ে রাখতে হয়।
৫) জঠরে এত দিন থাকার পর বাইরে আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সমস্যা হতে পারে। তবে মায়ের শরীরের কাছাকাছি থাকলে নিরাপত্তার অভাব বোধ করে না। রোগ প্রতিরোধ শক্তি, হৃদ্স্পন্দন, ক্লান্তি প্রশমন করতে সাহায্য করে মায়ের বুকের ওম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy