Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Bizarre

নগ্ন হয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছেন এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী! হঠাৎ হলটা কী? কেন এমন করলেন ওঁরা?

দক্ষিণ আমেরিকার সাও পাওলোর রাস্তায় নগ্ন হয়ে সাইকেল চালালেন ৩০ জন! কেন এমন কাণ্ড ঘটালেন তাঁরা?

কারও শরীরে নেই বিন্দুমাত্র কাপড়, কেন এই উদ্যোগ?

কারও শরীরে নেই বিন্দুমাত্র কাপড়, কেন এই উদ্যোগ? ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
ব্রাসিলিয়া (ব্রাজ়িল) শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৩ ১৩:৩২
Share: Save:

প্রতি বছর পথ দুর্ঘটনায় প্রায় ১৩ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়। কারও কারও নিজের ভুলেই প্রাণ যায়, কখনও বা অন্য কারও ভুলের মাশুল গুণতে হয়। এ ধরনের পথ দুর্ঘটনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে নগ্ন হয়ে সাইকেল চালালেন ৩০ জন! দক্ষিণ আমেরিকার সাও পাওলোর ঘটনা।

এক সাইকেলচালককে দেখা গেল সম্পূর্ণ নগ্ন সাজে। তাঁর সারা শরীরে সবুজ রং মাখা, পায়ে কালো বুট। ৪১ বছরের ওই সাইকেলচালক অ্যালিস বেজেরা জানান, আমরা লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে জনবহুল পথগুলির মধ্যে একটিতে নগ্ন হয়ে হাঁটছি! আমাদের এই পদক্ষেপ রাস্তায় গতির বিরোধিতা করে, গাড়ির দৌরাত্মকেও ধিক্কার জানায়। আমাদের এই যাত্রার মাধ্যমে গাড়ির বদলে সাইকেল চালানোর কী গুরুত্ব, তা বোঝানোর চেষ্টা করছি। গাড়ি ছেড়ে আমরা সাইকেল নিয়ে পথে নেমেছি, আপনারাও তাই করুন। পরিবেশকে বাঁচানোর জন্য এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।’’

কারও নগ্ন শরীরে প্রতিবাদের স্লোগান লেখা, কেউ আবার একেবারেই নগ্ন। সচেতনা বাড়াতে এমন উদ্যোগে কেউ কেউ স্বাগত জানিয়েছে, কেউ আবার নিন্দাও করেছেন। ৪৩ বছরের শিল্পী অ্যান্ড্রেসা অ্যাগুইডা বলেন, ‘‘আমরা রাস্তায় সাইকেল নিয়ে নামলে গাড়ি চালকরা আমাদের তোয়াক্কাই করেন না! তাঁদের হাবভাব এমন থাকে যে, হয় সামনে থেকে এখনই সরে যাও, না হলে ধাক্কা দিয়ে উড়িয়ে দেব। এই হিংসার বিরুদ্ধেই আমাদের প্রতিবাদ!’’

এক সাইকেলচালককে দেখা গেল সম্পূর্ণ নগ্ন সাজে।

এক সাইকেলচালককে দেখা গেল সম্পূর্ণ নগ্ন সাজে। ছবি: সংগৃহীত।

তাঁদের এই প্রতিবাদ দেখে স্তম্ভিত সাধারণ মানুষ! এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকে। আবার ধিক্কারের মুখোমুখিও হতে হয়েছে এর জন্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bizarre Brazil
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE