Advertisement
E-Paper

কাজের ফাঁকে নিয়ম মতো জল খান? অবহেলায় দানা বাঁধছে রোগ! ঠিক কত গ্লাস পান করতে হবে জানুন

জলের গুরুত্ব অপরিসীম হলেও নিয়ম মতো পান করার কথা অনেকেই ভুলে যান। বিশেষ করে কর্মরত অবস্থায় এই প্রবণতা খুব বেশি দেখা যায়।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ১৯:১৮
drinking water

জলের গুরুত্ব অপরিসীম হলেও নিয়ম মতো পান করার কথা অনেকেই ভুলে যান। ছবি: সংগৃহীত।

যেন একাই একশো। কেবল জল পানেই যে কত ছোটখাটো রোগ দূর হতে পারে! শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে বহু অসুখের বীজ বপন হতে পারে। আর শরীরের জলশূন্যতা নিয়েই কথা বললেন লখনউয়ের চিকিৎসক শিবানি গুপ্ত।

জলের গুরুত্ব অপরিসীম হলেও নিয়ম মতো পান করার কথা অনেকেই ভুলে যান। বিশেষ করে কর্মরত থাকাকালীন এই প্রবণতা খুব বেশি। যাঁদের কায়িক শ্রমের পেশা, তাঁদের পক্ষে সর্ব ক্ষণ জলের বোতল নিয়ে ঘোরাও সম্ভব নয়। ফলে দিনে যথেষ্ট পরিমাণে জল খাওয়া হয় না। আর তাই শরীরে জলশূন্যতার (ডিহাইড্রেশন) সমস্যা দেখা দেয়। যাঁদের মূলত এক জায়গায় বসে কাজ, তাঁদের ক্ষেত্রে ব্যস্ত রুটিন, বিরতির অভাব, এয়ার কন্ডিশনিংয়ের মতো কারণগুলিই শরীরে জলের অভাব তৈরি করে। প্রাথমিক ভাবে ক্লান্তি এবং মাথাঘোরার মতো হালকা লক্ষণ দেখা দিতে পারে। তবে সমস্যা বেড়ে গেলে কিডনির রোগ দানা বাঁধতে পারে শরীরে।

ডিহাইড্রেশনের শুরুর দিকে তৃষ্ণা বোষ করা, মাথা ঘোরানো এবং ক্লান্তির মতো উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে জল কম খাওয়ার অভ্যাস থাকলে প্রাথমিক লক্ষণগুলিকে উপেক্ষা করে যান অনেকেই। তার ফলেই গুরুতর রোগ বাসা বাঁধতে পারে।

ডিহাইড্রেশন কী ভাবে কিডনিতে প্রভাব ফেলে?

কিডনির কাজ হল রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ এবং অতিরিক্ত তরলকে ছেঁকে প্রস্রাব হিসেবে শরীরের বাইরে বার করা। এ ছাড়াও রক্তচাপ, ইলেক্ট্রোলাইট এবং লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে কিডনি। কিন্তু শরীর যখন যথেষ্ট পরিমাণে জল পায় না, তখন কিডনির উপর চাপ পড়ে বেশি। তাতেই নেতিবাচক প্রভাব পড়ে স্বাস্থ্যে।

যদি কায়িক শ্রম বেশি হয়, তা হলে তুলনায় বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে।

যদি কায়িক শ্রম বেশি হয়, তা হলে তুলনায় বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে। ছবি সংগৃহীত।

চিকিৎসকের উপদেশ, কিডনির যত্ন নিতে হলে কর্মক্ষেত্রে হাইড্রেটেড থাকা দরকার। আর তার জন্য কয়েকটি সহজ অভ্যাস তৈরি করে নিলেই চিন্তার কারণ থাকে না।

নিয়মিত জলপান: প্রতি দিন কমপক্ষে আট গ্লাস জল পান করা উচিত। যদি কায়িক শ্রম বেশি হয় অথবা অত্যন্ত গরম জায়গায় বসে কাজ করতে হয়, তা হলে আরও বেশি জল খেতে হবে।

হাতের কাছে জলের বোতল: নিজের কাজের জায়গায় হাতের কাছে জলের বোতল রাখুন। যদি সারা দিন ঘুরে বেড়াতে হয়, সে ক্ষেত্রে ব্যাগে বোতল রাখতে হবে। নিয়মিত পান করতে হবে।

রিমাইন্ডার: ভুলো মন হলে, রোজকার রুটিনে নির্দিষ্ট সময়ের হিসেব রেখে ফোনে রিমাইন্ডার সেট করুন, যাতে জল খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয় আপনার ফোন।

শরীরকে অবহেলা নয়: ঘন ঘন তৃষ্ণা পাওয়া মানেই আপনার শরীরে জলের অভাব তৈরি হয়েছে। উপেক্ষা না করে জল পান করুন।

হাইড্রেটিং খাবার: তরমুজ, শসা এবং লেটুসের মতো ফল এবং সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকে, কাজের ফাঁকে ফাঁকে এই খাবারগুলি দিয়ে পেট ভরাতে থাকুন। তাতেও জলের অভাব মেটে।

চিনিযুক্ত পানীয় বাদ: চিনিযুক্ত পানীয় প্রায়শই শরীরে জলের অভাব তৈরি করে। আপাত ভাবে মনে হবে, তরল যাচ্ছে শরীরে। কিন্তু ডিহাইড্রেশন এবং অন্যান্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় এগুলি।

Dehydration Health Tips Dehydration remedy
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy