প্রতীকী ছবি।
দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম না বোঝার দুঃখ বাঙালির অতি প্রাচীন। কিন্তু আক্ষরিক অর্থেই যে আমরা দৈনন্দিন যত্নের মধ্যে দাঁতের দিকে তেমন নজর দিই না, এ কথা অস্বীকার করা চলে না। তাই বয়স বাড়তেই দেখা দেয় দাঁতের ক্ষয়, মাড়িতে ব্যথা ও অন্যান্য সমস্যা। ষাট-সত্তরের দোরগোড়ায় পৌঁছোলেই দাঁত তোলা বা রুট ক্যানাল হয়ে পড়ে অবশ্যম্ভাবী। আর তার উপর আপনি যদি ধূমপায়ী হন, তা হলে তো কথাই নেই। অথচ প্রথম থেকেই একটু একটু করে দাঁতের যত্ন নিলে পড়ি কি মরি করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয় না। সে দিকেই একটু দৃকপাত করা যাক। আপনার জন্য আজ রইল দাঁত ভাল রাখার কিছু উপায়।
দাঁত মাজা: দাঁতের যত্নের জন্য প্রথম পদক্ষেপ নিয়মিত দাঁত মাজা। এ কথা নতুন করে বলার কিছুই নেই। দিনে দু’বার অন্তত দাঁত মাজতে হবে। সকালে উঠে দাঁত মাজার অভ্যাস প্রায় সকলের নিয়মের মধ্যেই পড়ে। তবে তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে আর এক বার দাঁত মাজার অভ্যাস। বিশেষ করে ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম পালন করা জরুরি।
টুথপেস্ট বাছাই: দাঁত ভাল রাখার জন্য রকমারি টুথপেস্টের পসরা এই বিজ্ঞাপনের জমানায় আমাদের সামনেই রয়েছে। তবে টুথপেস্ট বাছার সময়ে অবশ্যই মাথায় রাখুন তাতে যেন ফ্লুওরাইড থাকে।
মাউথওয়াশ: চেষ্টা করুন দিনে ১-২ বার কোনও অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে। এতে মুখে দুর্গন্ধ হয় না, আর দাঁতের উপর জমে থাকা জীবাণুর স্তরও সরে যায় সহজেই। ধূমপায়ীদের জন্য এটি খুব দরকারি।
চিকিৎসকের কাছে যাওয়া: প্রত্যেকেরই বছরে দু’বার নিজস্ব দাঁতের ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। ধূমপায়ীরা আরও বেশি বার গেলে ভাল। মনে রাখা দরকার, ধুমপায়ীদের দাঁতের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা সব সময়েই বাকিদের তুলনায় বেশি।
কুলকুচি: খাওয়াদাওয়ার পর সব সময়ে চেষ্টা করবেন যাতে জল দিয়ে কুলকুচি করে নিতে পারেন।
চিনি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা: মিষ্টি খাদ্যদ্রব্যে যে অ্যাসিড থাকে, তা খাওয়া শেষ হলেও মুখে থেকে যায় বেশ অনেক ক্ষণ। এই অ্যাসিড দাঁতের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। তা ধীরে ধীরে দাঁতের ক্ষয় করতে থাকে। তাই যতটা সম্ভব এই ধরনের খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy