ডিম প্রেমে অনেকে এক সঙ্গে ৪-৬টা ডিম খেয়ে ফেলেন। অনেকে আবার কোলেস্টেরল বাড়ার ভয়ে ডিম থেকে দূরে থাকেন। খেলেও কুসুম ছাড়া ডিমের সাদা অংশ খান। চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, দুটোই ভুল। ডিমের কুসুম সম্পর্কে প্রচলিত অধিকাংশ ধারণাই আসলে মিথ। জেনে নিন ডিমের কুসুমের উপকারিতা, কোলেস্টেরল নিয়ে মিথ আর সত্যিটা।
মিথ: ডিম খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে
এলডিএল বা লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন আর্টারির ভিতরের দিকে জমা হয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। একে খারাপ কোলেস্টেরল বলা হয়। অন্য দিকে, এইচডিএল বা হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ডিম খেলে কোলেস্টেরল বাড়ে সেই ভয়ে অনেকেই পিছিয়ে আসেন ডিম খাওয়া থেকে। কিন্তু চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন সম্পূর্ণ উল্টো কথা। তারা জানাচ্ছেন, ডিমের কুসুম রক্তে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। ফলে রক্তচাপ কমিয়ে হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ার কারণ শরীরচর্চার অভাব, জাঙ্ক ফুড খাওয়া, ধূমপান ও মদ্যপান।
ডিমের কুসুম না খেলে কী ঘাটতি হয়?
সব অ্যামাইনো অ্যাসিড প্রোফাইল থাকায় ডিমের কুসুম প্রথম শ্রেণির প্রোটিন। যদি কুসুম ছাড়া শুধু ডিমের সাদা অংশ খান তাহলে এই সব অ্যামাইনো অ্যাসিড থেকে বঞ্চিত হবেন। একটা গোটা ডিমে ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। ডিমের কুসুম বাদ দিলে প্রোটিনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ গ্রাম।
প্রোটিন ছাড়াও কোলিন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন এ, বি, ই, ডি ও কে থাকায় ডিমের পুষ্টিগুণের প্রায় পুরোটাই থাকে কুসুমে। ডায়েটারি কোলিন ও ভিটামিন ডি-র সবচেয়ে উত্কৃষ্ট উত্স ডিমের কুসুম।
আরও পড়ুন: কিডনির সমস্যা দূরে রাখবে এই ৮টি খাবার
প্রতি দিন কতগুলো ডিম খাওয়া যেতে পারে?
ফিটনেস কোচ রচিত দুয়া জানাচ্ছেন, যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন না তাদের জন্য দিনে দু’টো গোটা ডিমই যথেষ্ট। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন তারা এক দিনে ৪-৫টা ডিমও খেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy