রোজকার যাপন হোক বা পুজোর চারটে দিন, দুইয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখেই চলতে চান সোমলতা আচার্য চৌধুরী এবং লগ্নজিতা চক্রবর্তী। বেশ কিছু বছর ধরে দুই গায়িকার কাছে পুজোর আনন্দ মানে গানের শো। পঞ্চমী থেকে দশমী এক শহর থেকে অন্য শহর... পুজোর মূল আকর্ষণ ছিল সেটাই। কিন্তু এ বার সেই অনুষ্ঠান-মুখরতা থেকে দূরেই থাকছেন সোমলতা ও লগ্নজিতা।
লগ্নজিতার কথায়, ‘‘এ বছরের পুজোটা বড্ড বিষণ্ণ। তবুও তার মধ্যেই অনেক বছর পর সাত্যকির (স্বামী) সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানোর চেষ্টা করব।’’ লগ্নজিতা পৌঁছে গিয়েছেন বেঙ্গালুরুর কাছে হসুরে। নতুন জায়গায় সংসার পেতে, নতুন মেনু ট্রাই করাই তাঁর এ বারের পুজোর আনন্দ।
উৎসবের দিনে নিজেকে সেরা দেখাতে সোমলতা আস্থা রাখেন শাড়িতেই। ‘‘সিল্ক আমার খুব প্রিয়। প্রতি বছর একটা শাড়ি কিনিই। শাড়ি ছাড়া অঞ্জলি হয় নাকি! তবে শুধু শাড়ি হলেই হবে না, সব দিক থেকে প্রস্তুত হতে হবে।’’ তাই পুজোর ক’টা দিন বাড়িতেই কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে গান-আড্ডাতে মেতে থাকবেন তিনি। লগ্নজিতার সঙ্গে বারো হাতের সখ্য স্কুলে পড়ার সময় থেকে। বললেন, ‘‘ছোট থেকে আমি নিজেই শাড়ি পরতে পারি। খুব ভাল ক্যারিও করতে পারি। পছন্দের শাড়ি সিল্ক, লিনেন।’’
পুজোর বেশে সোমলতার পরনের দুটি শাড়িই দক্ষিণী সিল্ক। জমিতে জরির কাজ। লগ্নজিতার লাল শাড়িতে পদ্মের মোটিফ এবং আঁচলে জরি বর্ডার। আর পাড়হীন বেগুনি সিল্কের শাড়িতে সুতোর নকশা। শাড়িতে রঙের ঔজ্জ্বল্যে যেন আগমনির ধ্বনি।
ছবি: তথাগত ঘোষ; মেকআপ: নবীন দাস; স্টাইলিং: অয়ন হোড় শাড়ি: আনন্দ (রাসেল স্ট্রিট), সুন্দরী (গড়িয়াহাট); ব্লাউজ়: নীল সাহা; জুয়েলারি: জ্যাজ়ি জুয়েলরি, আভামা জুয়েলার্স
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy