খালি পেটে থাকলে, বা এটা-সেটা খেলে পেটে বায়ু জমছে? মনে রাখবেন, এটা মোটেই পেটের সমস্যার লক্ষণ নয়। বরং প্রাণ খুলে ‘পবনমুক্ত’ হলে অনেক লাভ হবে।
কী কী লাভ? দেখে নেওয়া যাক।
- খাবার হজমের সময় বহু ধরনের গ্যাস পেটে তৈরি হয়। সেগুলি পেটে জমে থাকলেই ক্ষতি। বরং সেগুলি যদি বেরিয়ে যায়, তা হলেই লাভ। সে ক্ষেত্রে পেটে চাপ পড়লে নির্দ্বিধায় সেই গ্যাস বের করে দিন।
- পেটে বায়ু জমলে, তা চেপে রাখলে অস্বস্তি হয়। ফলে সেটি ত্যাগ করলে সেই অশ্বস্তি তো কাটেই, কিন্তু তার পাশাপাশি আরও কিছু উপকারও হয়। দেখা গিয়েছে, আরাম করে এই বাতাস বের করে দিতে পারলে মানসিক চাপ কমে, মন হালকা হয়।
- অ্যালার্জি পরীক্ষা করানোর দরকার নেই। গ্যাস থেকেই বলে দেওয়া সম্ভব, কোন কোন খাবার থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে। যে যে খাবারগুলি খেলে বেশি গ্যাস হয়, সেগুলি থেকে অ্যালার্জির সমস্যাও হয়। তাই গ্যাস থেকে সেগুলিকে চিহ্নিত করা সহজ।
- হরমোনের ভারসাম্যের এ দিক ও দিক হলেও তা জানান দেয় পেটের গ্যাস। দীর্ঘ দিন ধরে যেমন চলে আসছিল, তার থেকে গ্যাসের পরিমাণ বা গন্ধ হঠাৎ অনেকখানি বদলে গেলে তার পিছনে অনেক সময়েই কাজ করে হরমোনের ভারসাম্যে বদল। এ রকম হলে অন্ত্রবিদ চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা দরকার।
- পেটে খাবার হজম করার কাজে সাহায্য করে যে সব ব্যাকটেরিয়া, তারা এই গ্যাসের অনেকটা তৈরি করে। দেখা গিয়েছে যাঁদের একেবারেই গ্যাস হয় না, তাঁদের হজম প্রক্রিয়ায় কিছু সমস্যা থাকলেও থাকতে পারে। যাঁরা খাবার খুব ভাল করে হজম করেন, পুষ্টিগুণ পুরোমাত্রায় গ্রহণ করেন, তাঁদের পেটে বায়ুর উৎপাদনের মাত্রা বেশি।
- অনেকেই শুনে নাক সিঁটকাতে পারেন, কিন্তু নিজের পেটে তৈরি হওয়া গ্যাস আবার নাক দিয়ে শরীরে ঢুকলে, তারও কিছু উপকার আছে। পেটের গ্যাসে হাইড্রোজেন সালফাইড নামক উপাদান থাকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষের উপর যে মাইটোকনড্রিয়ার আবরণ থাকে, যা কোষগুলিকে বাঁচিয়ে রাখতে সাহায্য করে, হাইড্রোজেন সালফাইড তার ক্ষয় রোধ করে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
Best Value
এক বছরে
5,148
1,999
এক মাসে
429
169
মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে
মেয়াদ শেষে আপনার সাবস্ক্রিপশন আপনাআপনি রিনিউ হয়ে যাবে
Subscribed already?
Log in
সাবস্ক্রাইবার হলে আপনি পাচ্ছেন