হিল তোলা নতুন জুতো পরে অনেকেরই পায়ে ব্যথা হয়। তা ছাড়া পায়ে-জুতোয় ঘষা লেগে স্থানে স্থানে ফোস্কাও পরে। কিন্তু দেখেশুনে কেনা নরম স্নিকার পরে এমনটা হলে? সংখ্যায় খুব কম হলেও, এমন সমস্যায় পড়েন কেউ কেউ। কিন্তু নতুন জুতো বললেই তো বাতিল করা যায় না! তা হলে সমাধান হবে কী করে?
প্রথমেই জানা দরকার, নতুন জুতো থেকে কোন ধরনের সমস্যা হয়।
১। জুতোটি যদি একটু শক্ত হয়, তা হলে পায়ে ব্যথা হতে পারে।
২। জুতোর সঙ্গে আঙুলের ঘষা লেগেও ফোস্কা পড়তে পারে, বা জ্বালা হতে পারে।
৩। জুতোর গড়ন পায়ের উপযুক্ত না হলেও ব্যথা হওয়া সম্ভব।
৪। জুতোর কুশনিং ভাল না হলে, একটু হাঁটলেই পায়ে ব্যথা করবে।
৫। জুতো পরার পরে যদি আঙুল ঠিকমতো নাড়াচাড়া করা না যায়, সমস্যা তখনও হতে পারে।
৬। অনেক সময় দীর্ঘ ক্ষণ হাঁটাহাটি করলে বা অনেক ক্ষণ দাঁড়িয়ে কিংবা বসে থাকলেও কারও কারও পা ফুলে যায়। জুতো যদি একেবারেই পায়ের সঙ্গে মাপসই হয়, তা হলে পা ফুলে গেলে জায়গার অভাব হবে। জুতো শক্ত বোধ হবে এবং পায়ে বা আঙুলে ব্যথা হতে পারে।
সমাধান কী ভাবে সম্ভব?
আরও পড়ুন:
· জুতোটি যাতে প্রসারিত হতে পারে, জুতো নরম হয় সেই সুযোগ দেওয়া দরকার। তাই প্রথম দিনে নতুন জুতো পরে লম্বা সফরের চেষ্টা না করাই ভাল।
· নতুন জুতো পরলে পায়ে ব্যথা করলে সেটি খুলে ফেলুন। তবে প্রতি দিন ঘণ্টাখানেক করে সেটি পরে থাকতে পারেন। তার পরে সেই সময়সীমা বাড়িয়ে দিন। ধীরে ধীরে নতুন জুতোর সঙ্গে পা মানিয়ে নিতে পারবে।
· অনেক সময় ব্যথা হয় আঙুলের দিকটায়। বিভিন্ন স্নিকার বা জুতোর আকার আলাদা। কারও আবার আঙুল একটু বেশি ছড়ানো হয়। সে ক্ষেত্রে জুতোর সামনের অংশ সরু হলে আঙুলে ব্যথা করতে পারে। জুতো চওড়া করে নেওয়ার জন্য ‘শ্যু স্ট্রেচার’ পাওয়া যায়। এটি জুতোয় ভরে চাপ দিলে ধীরে ধীরে জুতো প্রসারিত হয়। বাজারে বিভিন্ন ধরনের এবং মানের ‘শ্যু স্ট্রেচার’ রয়েছে।
· যদি মনে হয়, জুতো ছোট বলে পায়ে ব্যথা করছে তা হলে তা প্রসারিত করার আরও এক উপায় ভাবতে পারেন। ছোট পলিথিন প্যাকেটে জল ভরে নিন। তার পরে সেটি জুতোর মধ্যে ভরুন। জুতোটি একটি পরিষ্কার প্যাকেটে ভরে ফ্রিজ়ারে রাখতে হবে। প্যাকেটের জল বরফ হয়ে আয়তনে বেড়ে গেলে জুতোয় চাপ দেবে। ফলে জুতো প্রসারিত হবে। তবে অনেকেই ফ্রিজ়ারে জুতো রাখতে চাইবেন না, সে ক্ষেত্রে ‘শ্যু স্ট্রেচার’ কিনতে পারেন।
· পায়ের আঙুল বা পাতার যে অংশটি ঘষা খাচ্ছে সেখানে ব্যান্ডেড, স্টিকিং প্লাস্টার লাগিয়ে নিন। ক্রিম মেখে নিলেও কিছুটা পিচ্ছিল হয়ে থাকবে পা। ততটা ঘষে যাবে না। নরম মোজাও পরতে পারেন।
· গায়ে মাথার পাউডারও জুতোয় ছড়িয়ে দেওয়া যায়। এতে জুতো, পরতে-খুলতে সুবিধা হবে। পায়ে এঁটে বসা জুতোও একটু আলগা মনে হবে।
· জুতো আলগা করার আর একটি উপায় হল স্নিকারের ফিতে আলগা করা। তেমন হলে ফিতে বাঁধার যে ছিদ্র থাকে, শুরুর দিকে একটি বা দু’টি ছিদ্র বাদ দিয়ে ফিতে পরান। এতে জুতোর মুখটা বেশ চওড়া এবং আলগা থাকবে। পায়ে ততটা ব্যথা হবে না।
সপ্তাহখানেক বা সপ্তাহ দুয়েক এই ভাবে চেষ্টা করার পরেও যদি বোঝা যায়, জুতো পরলেই পায়ে ব্যথা হচ্ছে বা তা আরামদায়ক হচ্ছে না, বুঝতে হবে নির্দিষ্ট মডেলের জুতোটি আপনার পায়ের উপযোগী নয়।