Advertisement
E-Paper

এক আকাশের নীচে

আলাদা ঘর নয়, খাওয়া-থাকা-ঘুম সবই এক ছাদের নীচে। অন্য রকম দিনযাপনের জন্য স্টুডিয়ো অ্যাপার্টমেন্টের দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। জানুন এই ট্রেন্ডের প্রাথমিক কথাচাকরি বা পড়াশোনার খাতিরে একা থাকার চল যত বাড়ছে, স্টুডিয়ো অ্যাপার্টমেন্টের চাহিদাও তত বাড়ছে।

দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯ ০০:০১

স্টুডিয়ো অ্যাপার্টমেন্ট এখন নতুন ট্রেন্ড। সোজা বাংলায় বললে এক কামরার ঘর। চাকরি বা পড়াশোনার খাতিরে একা থাকার চল যত বাড়ছে, স্টুডিয়ো অ্যাপার্টমেন্টের চাহিদাও তত বাড়ছে। এই কনসেপ্ট পশ্চিমী হলেও, একটি ঘরেই সংসার গুছিয়ে নেওয়া বাঙালিদের কাছে নতুন নয়।

স্টুডিয়ো অ্যাপার্টমেন্ট কী?

এর আয়তন ২৫০ বর্গফুট থেকে আড়াই হাজার বর্গফুট বা তারও বেশি হতে পারে। সবটা নির্ভর করছে প্রয়োজন এবং বাজেটের উপরে। একটি বড় ঘরের মধ্যে থাকা, খাওয়া এবং শোওয়ার জায়গা। বাথরুম আলাদা। স্টুডিয়ো অ্যাপার্টমেন্টের সংজ্ঞা মূলত এটাই। ওয়ান বেডরুমের সঙ্গে তফাত হল, সেখানে বেডরুম আর কিচেন আলাদা।

কাদের জন্য প্রযোজ্য?

এ রাজ্যেও স্টুডিয়ো অ্যাপার্টমেন্ট ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। যাঁরা একা থাকেন, তাঁদের জন্য এই অ্যাপার্টমেন্ট আদর্শ। পরিবার নিয়ে থাকতে হলে একটু সমস্যা রয়েছে। যেহেতু একটি গণ্ডির মধ্যেই শোওয়া-বসা, সে ক্ষেত্রে আড়াল থাকে না বললেই চলে। যে সব কমবয়সি ছেলেমেয়ে পড়াশোনা কিংবা চাকরি করেন, তাঁদের মধ্যেই এই অ্যাপার্টমেন্টের চাহিদা বেশি। তবে যেহেতু স্টুডিয়ো অ্যাপার্টমেন্ট এখন ট্রেন্ডি, তাই অনেক দম্পতিও এই দিকে ঝুঁকছেন। সে ক্ষেত্রে পার্টিশান দিয়ে কিছু জায়গা আড়াল করে নিতে পারেন। বিশেষত বেডরুম এবং কিচেন। ছোট বাচ্চা থাকলে রান্নার জায়গায় আড়াল থাকা প্রয়োজন।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

যদি এমন হয়

বিদেশে যেটাকে অ্যাটিক বলা হয় সোজা বাংলায় সেটাই হল চিলেকোঠা। বাড়িতে চিলেকোঠা থাকলেও স্টুডিয়ো অ্যাপার্টমেন্টের আদলে সেটা সাজিয়ে নিতে
পারেন। আপনার প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়ে সেটিকে প্রাইভেট স্পেস হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। সেখানে একটা ইনডাকশন দিয়ে টুকটাক রান্নার বন্দোবস্তও
করা যেতে পারে

জ়োন ভাগ করে নিন

নিজের সামর্থ্য এবং বাজেট অনুযায়ী সাজান। এক জায়গায় যেহেতু সব কিছু, তাই জ়োন ভাগ করে নেওয়া জরুরি। তবে বড় বড় আড়াল তুলে দিলে স্টুডিয়ো অ্যাপার্টমেন্টের আসল মজাই নষ্ট হয়ে যাবে। শোওয়ার জায়গা সব কিছুর চেয়ে আলাদা হওয়া উচিত। রান্নার জায়গার পাশেই বসার জায়গা হলে ভাল। লিভিং কাম-ডাইনিং হয়ে যাবে সে ক্ষেত্রে। স্রেফ পর্দার মাধ্যমে জ়োন আলাদা করে নেওয়া যেতে পারে। কোনও ক্ষেত্রে একটি শো কেস বা বুক শেলফ পার্টিশানের কাজ করতে পারে। একটা কর্নার স্টাডি জ়োন হতে পারে। মিউজ়িক, পেন্টিং জাতীয় কোনও হবি থাকলে তার জন্যও জ়োন রাখতে পারেন। সাজান সেই সংক্রান্ত জিনিস দিয়েই। আবার গ্রিন জ়োনও রাখা যেতে পারে। ফ্লোর ব্যবহার না করতে চাইলে জানালায় কিংবা অন্যত্র হ্যাঙ্গিং প্ল্যান্টার ব্যবহার করা যায়। আলোর ব্যবহারে তারতম্য এনেও জ়োন ভাগ করতে পারেন।

জায়গা তৈরি করুন

এমন আসবাব কেনা উচিত যেখানে স্টোরেজ়ের ব্যবস্থাও থাকবে। সোফা কাম বেড, স্টোরেজ-সহ টেবিল... এই রকম ফার্নিচার ব্যবহার করাই শ্রেয়। ঘরের দেওয়াল কাজে লাগানো যেতে পারে। শেলফ এবং স্টোরেজ দিয়ে দেওয়াল সাজিয়ে নিতে পারেন। এই ধরনের অ্যাপার্টমেন্টে কোনও ঢাউস ফার্নিচার ব্যবহার করা মোটেই উচিত নয়।

প্রয়োজনীয় খুঁটিনাটি

অ্যাপার্টমেন্ট কেনার সময়ে দেখে নিন এক দিক থেকে যেন খোলা হাওয়া আসার ব্যবস্থা থাকে। যদি বারান্দা পাওয়া যায়, তা হলে তো খুবই ভাল। সেখানে ছোট্ট বাগান বা আলাদা একটা বসার জায়গা করতে পারেন। অনেক সময়ে ছাদের সঙ্গে অ্যাটাচ্ড স্টুডিয়ো অ্যাপার্টমেন্ট হয়। তেমন পেলে তো সোনায় সোহাগা!

এই ধরনের অ্যাপার্টমেন্টে গ্যাস আভেনের ব্যবস্থা না রাখাই ভাল। যদি রাখতেই হয়, তা হলে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা মেনে। রান্নার জন্য ইনডাকশন, মাইক্রোওয়েভ আভেন ব্যবহার করতে পারেন। যদি নিয়মিত রান্না করতে হয়, তা হলে চিমনি অবশ্যই লাগান।

ঘরের মাপ অনুযায়ী এসি কেনা উচিত। যে দিকে হাওয়া বেশি খেলবে সে দিকেই এসি লাগান। ওয়াশিং মেশিন বাথরুমের ভিতরে রাখার চেষ্টা করুন।

Studio Apartment Home Decor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy