এক কোয়া রসুন, তাতেই পালাবে অনেক রোগ। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
পুজোর বাকি নেই আর এক মাসও। রাত জেগে ঠাকুর দেখার সঙ্গে পুজোয় জমিয়ে খাওয়াদাওয়াও কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ সময় সহজেই পেটের অসুখ বা শরীরের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সুতরাং খাদ্যতালিকা নিয়ে সচেতন হন এখন থেকেই। পুষ্টিবিদদের মতে, এখন থেকেই সচেতনতা অবলম্বন করলে কিন্তু হঠাৎ অনিয়মের জেরে হওয়া অসুখবিসুখ সহজই ঠেকানো যায়।
পুষ্টিবিদ অন্তরা মজুমদারের মতে, এখন থেকেই সকালে বরং খালি পেটে এক কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যস করুন। কিন্তু সব থাকতে রসুনই বা কেন? এমন কী গুণাগুণ রয়েছে রসুনের, জানেন?
আরও পড়ুন
সাদা ডিম না কি লালচে ডিম, কোনটা খাওয়া উপকারী, জানেন?
সন্তান খুব টিভি দেখে? এ সব উপায়ে সহজেই এই নেশা ছাড়ান
পুষ্টিবিদদের মতে, রসুন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক। সকালে প্রাতঃরাশের আগে রসুন খেলে ঠান্ডা লাগার প্রকোপ কমে অনেকটাই। রসুনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রক্তকে পরিশুদ্ধ রাখে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রসুন খুব উপকারী। রসুন খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। রসুনের রস হার্টের জন্যও খুব উপকারী। রসুন টক্সিন দূর করতে ওস্তাদ। শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে রসুন বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই শরীরের দূষিত পদার্থকে বার করে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে রসুন।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
বিশেষজ্ঞদের মতে, রসুন যকৃত এবং মূত্রাশয়কে নিজের কাজ করতে সাহায্য করে। যকৃত ঠিক রাখার সঙ্গে পেটের নানা গোলমাল, ডায়ারিয়া ইত্যাদি সরাতে সাহায্য করে রসুন। হজমের সমস্যা মেটানো, ক্ষুধামান্দ্য ইত্যাদি রোধেও রসুন খুবই কার্যকর। স্নায়বিক চাপ কমিয়ে মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম এই সব্জি। আর মানসিক চাপ থেকে যাবতীয় অসুখকে রোধ করে রসুন। কিছু ভাইরাস ও সংক্রমণজনিত অসুখ, যেমন নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, হাঁপানি, হুপিং কাফ ইত্যাদি প্রতিরোধ করে রসুন।যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীর পথ্যে সারা দিনে কয়েক কোয়া রসুন খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। তবে রসুনে অনেকের অ্যালার্জি থাকে, তাঁরা রসুন না খেয়ে তার পরিবর্তে গরম জলে লেবু নিংড়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy