ছানি-অস্ত্রোপচারের জন্য এক শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল মহারাষ্ট্রের ওয়াশিম জেলায়। আশায় আশায় গিয়েছিলেন বহু রোগী। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পরেও স্বচ্ছ হল না দৃষ্টি। উপরন্তু চিরকালের জন্য দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছেন ওই শিবিরে অস্ত্রোপচার হওয়া ২১ জন রোগী।
গত ৬ থেকে ২৯ অক্টোবর ওয়াশিমে ছানি-অস্ত্রোপচার শিবির খুলেছিল মহারাষ্ট্র সরকার। ১৩ অক্টোবরের পর থেকে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে রোগীরা আসতে শুরু করেন। কারও চোখ লাল হয়ে গিয়েছে, কারও বা চোখ জলে ভর্তি, কারও দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ- এমন নানা সমস্যা। স্বাস্থ্য পরিষেবা মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়, এই অভিযোগ আসতে শুরু করলে, ওয়াশিম হাসপাতালের চিকিত্সকরা কোনও পরীক্ষা ছাড়াই সব রোগীকে আকোলা মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়ে দেন। সেখানেও তাঁদের প্রতি কোনও যত্ন নেওয়া
হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে বাড়তেই থাকে সংক্রমণ।
যেমন, রাজেন্দ্র হিবরালের মা। বয়স ৬৫ বছর। রাজেন্দ্র বলেন, ‘‘অস্ত্রোপচারের পরে মা দেখতে পাচ্ছিলেন না। ডাক্তারকে জানানো হলে তিনি আকোলায় পাঠান। সেখানে ১০ দিন রেখে দেওয়া হয় বিনা চিকিত্সায়। অবস্থা আরও খারাপ হলে মাকে মুম্বইয়ে পাঠানো হয়।’’
স্বাস্থ্য আধিকারিক দফতরের কাছে খবর পৌঁছলে তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে ২২ জন রোগীকে মুম্বইয়ের একটি বড় হাসপাতালে পাঠায়। ওই হাসপাতালের এক চক্ষু শল্য চিকিত্সক বলেন, ‘‘রোগীদের প্রত্যেকের চোখে ‘সিউডোমোনাস’ সংক্রমণ হয়েছে। ২১ জনের মধ্যে ৪ জনের দৃষ্টি শক্তি ফেরানো গেলেও ৪ জন সম্পূর্ণ ভাবে দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছেন। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’’
প্রাথমিক তদন্তের পরে অনুমান, অস্ত্রোপচার করার যন্ত্রপাতি সঠিক ভাবে জীবাণুমুক্ত না করানোর ফলেই এই কাণ্ড।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত শল্য চিকিত্সক ও আরও এক চিকিত্সককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আকোলা মেডিক্যাল কলেজের আর এক চিকিত্সককে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করা হয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবা দফতরের পক্ষ থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy