Advertisement
২৩ মার্চ ২০২৩
Bizarre News

ঘনিষ্ঠতার অছিলায় মহিলার শরীরে এডস রোগীর রক্ত ঢুকিয়ে দিলেন প্রাক্তন স্বামী!

প্রাক্তন স্ত্রীকে উচিত শিক্ষা দিতে তাঁর শরীরে এইচআইভি সংক্রমিত রক্তভর্তি ইঞ্জেকশন ফুটিয়ে দিলেন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের সুরতে।

 শঙ্কর পকেটে লুকিয়ে রাখা এইচআইভি সংক্রমিত রক্তভর্তি সিরিঞ্জ তাঁর স্ত্রীর শরীরে ফুটিয়ে দেন।

শঙ্কর পকেটে লুকিয়ে রাখা এইচআইভি সংক্রমিত রক্তভর্তি সিরিঞ্জ তাঁর স্ত্রীর শরীরে ফুটিয়ে দেন। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:১০
Share: Save:

প্রাক্তন স্ত্রী একসঙ্গে থাকতে নারাজ, রাগের মাথায় স্ত্রীর শরীরে এইচআইভি সংক্রমিত রক্ত ঢুকিয়ে দিলেন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের সুরতে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত শঙ্কর কাম্বলিকে সোমবার গ্রেফতার করেছে গুজরাত পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় বাসচালক ওই ব্যক্তির বিয়ে হয় বছর দশেক আগে। তবে সম্পর্কে তিক্ততার কারণে মাসখানেক আগেই বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। কিন্তু স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ মন থেকে মেনে নিতে পারেননি শঙ্কর। নানা উপায়ে প্রাক্তন স্ত্রীর মন জয় করার চেষ্টা চালাতে থাকেন। তবে স্ত্রী কিছুতেই সম্পর্কে ফিরতে রাজি না হওয়ায় মনে মনে তাঁকে শায়েস্তা করার ফন্দি আটতে শুরু করেন শঙ্কর। যেনতেনপ্রকারেণ স্ত্রীকে এক বার দেখা করার জন্য রাজি করান তিনি। সারা দিন এক সঙ্গে ঘুরে, খাওয়াদাওয়া করে, স্ত্রীকে কেনাকাটি করিয়ে এক নির্জন জায়গায় নিয়ে যান অভিযুক্ত। তার পর তাঁকে আবারও অনুরোধ করেন তাঁর জীবনে ফিরে আসার জন্য। স্ত্রী তাতেও রাজি না হওয়ায় শেষ বারের মতো স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরার অনুমতি চান। স্ত্রী তাতে সম্মত হলে শঙ্কর পকেটে লুকিয়ে রাখা এইচআইভি সংক্রমিত রক্ত ভর্তি সিরিঞ্জ তাঁর শরীরে ফুটিয়ে দেন। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন স্ত্রী। জ্ঞান ফিরলে স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন তিনি।

পুলিশের কাছে শঙ্কর জানান, টিভি সিরিয়াল দেখেই তার মাথায় এমন বুদ্ধি আসে। কোনও এক হাসপাতালের এইচআইভি ওয়ার্ড থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন শঙ্কর। মহিলা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.