Advertisement
E-Paper

কর্মক্ষেত্রে কোন কোন অভ্যাস অপেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়? আপনি করলেই চক্ষুশূল হবেন বসের

কাজের প্রতি নিষ্ঠা এবং আত্মবিশ্বাস থাকা সত্ত্বেও, পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে গেলে যে ক্ষেত্রেই কাজ করুন না কেন, দক্ষতার পাশাপাশি কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা খুব প্রয়োজন।

Habits that make you look unprofessional at office

অফিসে কোন কোন কাজ একেবারেই করবেন না? প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:৪২
Share
Save

পেশাগত জগৎ আর ব্যক্তিগত জীবন এক নয়। বাড়িতে যে ভাবে কথা বলেন, আচরণ করেন, কাজের জায়গায় সেই অভ্যাস একেবারেই সঠিক নয়। নতুন পেশাগত জগতে প্রবেশ করেছেন যাঁরা, তাঁদের ভুলত্রুটি হতেই পারে। তবে অনেক দিনের অভিজ্ঞতা হলে পেশাদারিত্ব আর অপেশাদারিত্বের তফাতটা বোঝা খুবই জরুরি। অফিসে হাসিঠাট্টা, কৌতুক সবই হতে পারে, তবে সব কিছুতেই একটা লক্ষণরেখা থাকা জরুরি। কাজের প্রতি নিষ্ঠা এবং আত্মবিশ্বাস থাকা সত্ত্বেও, পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে গেলে যে ক্ষেত্রেই কাজ করুন না কেন, দক্ষতার পাশাপাশি কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা খুব প্রয়োজন।

১) কাজের জায়গায় বেশভূষা সঠিক হতে হবে। অনেক অফিসেই ‘ড্রেস কোড’ থাকে। তা মেনে চলতেই হবে। না হলে পোশাক এমন হবে যা শালীনতার মাত্রা বজায় রাখে। রূপটানও হতে হবে কাজের জায়গার সঙ্গে মানানসই।

২) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, সহকর্মীদের সঙ্গে কী ভাবে কথা বলছেন, তা-ও খেয়াল রাখতে হবে। আলাপ-আলোচনা কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনও সমস্যার সমাধান হোক বা কোনও বিষয়ে মতানৈক্য— একমাত্র আলোচনার দ্বারাই সেগুলির সমাধান সম্ভব।

৩) ক্রমাগত কাজের জায়গায় ঢুকতে দেরি করা, সঠিক সময়ে অফিস মিটিংয়ে যোগ না দেওয়া চরম অপেশাদারিত্বের পরিচয়। ব্যক্তিগত কাজ, রাস্তায় যানজট বা শারীরিক সমস্যা— কারণ যা-ই হোক না কেন, এই অভ্যাস যদি লাগাতার হতে থাকে, তা হলে পেশাদারিত্ব বজায় থাকে না।

৪) কাজের জায়গায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা একসঙ্গে থাকলে বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য হতেই পারে। সহকর্মীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি বা মনোমালিন্য যা-ই হোক না কেন, তা নিয়ে অফিসে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করা অপেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়। শান্তিপূর্ণ ভাবে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা উচিত, তা-ও না হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা ভাল।

৫) অফিস ইমেলের উত্তর সঠিক সময়ে দিতে হবে। পরে দেব ভেবে ফেলে রাখলে আপনার প্রতি বিরূপ ধারণা হতে পারে কর্তৃপক্ষের।

৬) সময়জ্ঞান থাকা খুব জরুরি। কাজ নির্ধারিত সময়েই শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। সময় মতো কাজ শেষ করার অসুবিধা থাকলে সে বিষয়ে আগে থেকেই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে রাখুন।

৭) কাজের জায়গায় বসে জোরে জোরে কথা বলা, ফোনে দীর্ঘ সময় ব্যক্তিগত আলাপ-আলোচনায় ব্যস্ত থাকা, জোরে শব্দ করে খাওয়া অপেশাদারিত্বের পরিচয় দেবে।

Office Tips Habits Office Culture

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}