বর্ষার মরসুমে সন্ধ্যা হলেই চপ, তেলেভাজা খাওয়ার ইচ্ছা হয়। কিন্তু খেলে কি হবে, তার পরেই শুরু হয় অম্বল, চোঁয়াঢেকুর। তা ছাড়া চিকিৎসকেরা বলেন রোজ ছাঁকা তেলে ভাজা খাবার মোটেই শরীরের জন্য ভাল নয়। কিন্তু এমন মরসুমে জিভকেও যেমন তুষ্ট করতে হবে, মনকেও শান্ত করতে হবে। কী খাবেন সন্ধের সময়?
মশলা চানা
কাবলি ছোলা সেদ্ধ করে মশলা মাখিয়ে এয়ার ফ্রায়ারে ভেজে নিন। ছবি: সংগৃহীত।
কাবলি ছোলা নুন, হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। খেয়াল রাখতে হবে, যেন গলে না যায়। হালকা শক্ত থাকা অবস্থায় পরিষ্কার শুকনো কাপড়ে জল মুছে নিন। তার পর জিরে, ধনেগুঁড়ো, লঙ্কাগুঁড়ো, চাটমশলা,অল্প তেল, অল্প নুন দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিয়ে এয়ার ফ্রায়ারে রান্না করে নিন। স্বল্প তেলে তৈরি মুচমুচে মশলা মাখানো কাবলি ছোলা ভাজা পেলে নিমেষে প্লেট খালি হয়ে যাবে।
পাঁপড় চাট
পাঁপড় দিয়ে স্বাস্থ্যকর চাট হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
মশলা বা মশলা ছাড়া যে পাঁপড় পছন্দ কড়াইয়ে বা মাইক্রোঅয়েভ ওভেনে সেঁকে নিন। উপর থেকে পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা, টম্যাটোকুচি, চিনেবাদাম, ভাজা মশলা ছড়িয়ে দিন। চিজ় খাওয়ায় অসুবিধা না থাকলে অল্প একটু চিজ় ছড়িয়ে গরম কড়াইয়ে আঁচ কমিয়ে ঢাকা দিয়ে ১ মিনিট রাখুন। এতে চিজ় সব্জি মিলেমিশে দারুণ স্বাদ হবে।
ডিমের তন্দুরি
ডিম দিয়ে বানিয়ে ফেলুন তন্দুর। ছবি: সংগৃহীত।
ডিমে খুব ভাল মানের প্রোটিন থাকে বলেন পু্ষ্টিবিদেরা। একই সঙ্গে ডিম ভিটামিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের চাহিদাও পূরণ করে। সেদ্ধ ডিম দিয়ে খুব সহজে বানিয়ে নিতে পারেন তন্দুরি। জল ঝরানো টক দই, আদা, রসুন বাটা, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, তন্দুরি মশলা, স্বাদমতো নুন ভাল মিশিয়ে নিন। গোটা ডিমের বাইরে গভীর করে ছুরির আঁচড় দিন যাতে মশলা ভিতর পর্যন্ত যায়। মিশ্রণটি আধ ঘণ্টা ডিমে মাখিয়ে নন স্টিক কড়াই বা তন্দুর করার পাত্রে অল্প তেল বা মাখন দিয়ে উল্টে পাল্টে সেঁকে নিন। ডিমগুলি অর্ধেক করে, ধনেপাতার চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন।