ছবি: এএফপি এবং গেটি ইমেজেস।
শহরের মধ্যিখানে এক টুকরো স্বর্গ। সবুজ গাছগাছালির মাঝে আপনার সাধের আশিয়ানা। এরকম গালভরা বিজ্ঞাপন অহরহই নজরে পড়ে। বিজ্ঞাপন দেখে কত বার ভেবেছেন এ রকমই বহুতলে থাকার কথা। আত্মীয়স্বজনের সংখ্যা দিন কে দিন কমছে। পাড়া কালচারও আস্তে আস্তে বদলে যাচ্ছে। একমাত্র সন্তানও বহুদিন কর্ম অথবা পড়াশোনার সূত্রে অনত্র থাকে। কত বার ভেবেছেন এরকম পরিস্থিতিতে স্বামী-স্ত্রীতে মিলে বহুতলে ফ্ল্যাট কিনবেন। বাকি জীবনটা বহুতলের অন্য পরিবারগুলির সঙ্গে মিলেমিশে কাটিয়ে দেবেন। রাতবিরেতে শরীর খারাপ হলে বহুতলের নিজস্ব মেডিক্যাল ইউনিটই সামলে দেবে।
বহুতলে থাকার আগে তবে দু’বার ভাবুন। জেনে বুঝে হার্টের সমস্যাকে ডেকে আনছেন তো? যত উঁচুতে থাকবেন ততই কমবে হার্ট অ্যাটাক হলে বাঁচার সম্ভাবনা।
সম্প্রতি কানাডীয় মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সাত হাজার ৮৪২ জনের উপর সমীক্ষা চালিয়েছে কানাডীয় মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। ২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সমীক্ষায় প্রকাশ, হার্ট অ্যাটাকের পর যে সব ব্যক্তিরা চার তলায় থাকেন তাঁদের মধ্যে বেঁচেছেন ৪.২ শতাংশ। চার তলার বেশি উঁচুতে যাঁরা থাকেন তাঁদের মধ্যে বাঁচার সম্ভাবনা ২.৬ শতাংশ। সতেরো তলার উপরে যাঁরা থাকেন হার্ট অ্যাটাক হলে তাঁদের মধ্যে বেঁচেছেন মাত্র ০.৯ শতাংশ। পঁচিশ তলার বেশি উঁচুতে যাঁরা থাকেন তাঁদের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছে সকলের।
কেন এই বিপজ্জনক সমীক্ষা?
এর কারণ হিসেবে গবেষকদের দাবি, রোগীর ফ্ল্যাট বহুতলের যত বেশি উঁচু তলায় হবে ততই কমবে বাঁচার সম্ভাবনা। কারণ হার্ট অ্যাটাক হলে প্রথম কয়েক মুহূর্তই ঠিক করে দেয় জীবন-মৃত্যুর হিসেব। যত তাড়াতাড়ি হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়া যাবে ততই বাড়বে তাঁকে বাঁচানোর সম্ভাবনা।
তাই উঁচু বহুতলে থাকার আগে আরও এক বার ভাবুন। না হলে কিন্তু জীবন খাতার পাতায় যতই হিসেব নিকেষ করুন না কেন সব হিসেবেই কিন্তু গুলিয়ে যাবে।
এই সংক্রান্ত আরও খবর...
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy