Advertisement
E-Paper

অনলাইনে বিনিয়োগের নামে ৪২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ! টেলিগ্রামে গ্রুপ খুলে চলছিল প্রতারণা

নিশ্চিত লাভের টোপ দেওয়া হয়েছিল অভিযোগকারীকে। তাঁকে বলা হয়েছিল, বিনিয়োগ করে যা লাভ হবে, ১৫ শতাংশ ‘কমিশন’ বাবদ কেটে নেওয়া হবে। শুরুর দিকে বিনিয়োগ করে লাভের মুখও দেখছিলেন তিনি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:৩২
বেঙ্গালুরুতে টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ পাতার অভিযোগ।

বেঙ্গালুরুতে টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ পাতার অভিযোগ। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের নামে ফের লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল। বেঙ্গালুরুর এক বাসিন্দার থেকে ৪২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে ফাঁদ পেতেছিলেন প্রতারকেরা। সেই ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারকদের দাবি পূরণ করতে গিয়ে চার লক্ষ টাকা ঋণও নিতে হয় শক্তিভেল নামে ৪৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তিকে। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে এফআইআর রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রতারণার পুরো ফাঁদটি পাতা হয়েছিল টেলিগ্রামে একটি গ্রুপের মাধ্যমে। আশুতোষ শর্মা পরিচয়ে এক ব্যক্তি টেলিগ্রামে যোগাযোগ করেন শক্তিভেলের সঙ্গে। অনলাইনে বিনিয়োগের বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা হয় দু’জনের। আশুতোষই অনলাইনে বিনিয়োগের বিষয়ে উৎসাহিত করেন প্রতারিত ব্যক্তিকে। এফআইআর অনুসারে, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে কী ভাবে বিনিয়োগ করতে হয়, তা শেখার জন্য আশুতোষ একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত করেন শক্তিভেলকে।

সেখানে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ শেখানোর জন্য সাত দিনের একটি কোর্সের কথা বলা হয় তাঁকে। অভিযোগকারীর বক্তব্য, সেখানে তাঁর কাছ থেকে কোনও আগাম টাকা চাওয়া হয়নি। তবে নিশ্চিত লাভের টোপ দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে বলা হয়েছিল, বিনিয়োগ করে যা লাভ হবে, ১৫ শতাংশ ‘কমিশন’ বাবদ কেটে নেওয়া হবে। সেই ফাঁদে পা দিয়ে ফেলেন শক্তিভেল। প্রথম দিকে বিনিয়োগ করে লাভও হচ্ছিল তাঁর। ফলে আরও বেশি বেশি করে বিনিয়োগ করতে শুরু করেন। এর পরে আচমকাই ক্রিপ্টোকারেন্সির অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা আটকে যায় তাঁর। শক্তিভেলকে বলা হয়, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য ভুল দেওয়া রয়েছে। সেটি সংশোধন করতে চার লক্ষ টাকা চাওয়া হয় তাঁর কাছ থেকে।

প্রতারকদের দাবি মতো টাকা জোগাড়় করতে ধারও করতে হয় শক্তিভেলকে। পরিচিতদের থেকে টাকা ধার করার পাশাপাশি এক ঋণদাতা সংস্থারও সাহায্য নেন তিনি। সেই টাকা প্রতারকদের কথা মতো বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েও দেন তিনি। পরে তাঁর কাছ থেকে আরও বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে টাকা চাওয়া হয়। অভিযোগকারীর দাবি, গত ৩ জুলাই থেকে ১ অগস্টের মধ্যে তাঁর কাছ থেকে ৪২,৬২,০৮১ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে গত শুক্রবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ।

Online fraud Crypto Currency Bengaluru telegram
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy