কেউ কেনেন শখে, কেউ আবার কোনও জিনিস ভাল লাগলে না ভেবে কিনে ফেলেন। কেনাকাটার বাতিক নিয়ে ভোগান্তিও কম হয় না। কখনও প্রয়োজনের টাকা থাকে না। কখনও আবার শখের দাম মেটাতে গিয়ে ঘর অপ্রয়োজনীয় জিনিসে ভরে যায়। কিন্তু তাতে লাগাম টানতে পারলে তো! কেনার আগে নিজেকে প্রশ্ন করে বুঝে নিতে পারেন, আদৌ জিনিসটি প্রয়োজনীয় কি না।
শৌখিন বাসন: অনেকেরই শৌখিন বাসন দেখলে কেনার শখ হয়। সেই বাসন অবশ্য ব্যবহার করা হয় না। তোলা থাকে অতিথিদের জন্য। বাসন দেখলেই যাঁদের কেনার ইচ্ছে হয়, তাঁরা প্রথমেই ভেবে নিন, অতিথির জন্য ঠিক কতগুলি সেট বাড়িতে রয়েছে। যদি দু’টি সেট ইতিমধ্যেই থেকে থাকে, তা হলে নিজেকে বোঝাতে হবে এতে শুধু ঘরের বোঝা বাড়বে। যা দৈনন্দিন ব্যবহার্য বা নিজে ব্যবহার করতে পারেন সেটাই কিনুন। কবে কোন অতিথি আসবে সে জন্য একের পর এক বাসন কিনে ঘর বোঝাই করে ফেলা অযৌক্তিক।
অফার: অফারের লোভ অনেককেই কাবু করে ফেলে। ৫০০০ হাজার টাকার জুতো, জ্যাকেটে ৭০ শতাংশ ছাড়! এই সুযোগ কি ছাড়া যায়? বাড়ি ভর্তি জুতো, জামা— তবু সেই আকর্ষণ ছাড়া কঠিন। নিজেকে প্রশ্ন করুন, আদৌ এই জিনিসের দরকার আছে! বোঝাতে পারেন, এর পর আরও ভাল ছাড় বা অফার আসতে পারে। এবার নয়, পরের বার কেনা যাবে।
বই: কেউ নিয়মিত বই পড়েন। আবার কারও বই কেনাই শখ। বই সংগ্রহ করেন। যে বই সচরাচর মেলে না তা সংগ্রহ করা এক বিরাট ব্যাপার। তবে শুধু ছাড় মিলছে বলেই বই কেনা, কাজের কথা নয়। বই পড়ার অভ্যাস থাকলে তবেই তা কেনার কথা ভাবুন, না হলে নয়।