সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে বাড়ির নকশা, সজ্জা। কমেছে জায়গা। ২-৩ কামরার ফ্ল্যাটে এখন মাপ বুঝে জিনিস না কিনলে তা যে শুধু দেখতে বেমানান হয় তা নয়, চলাফেরাতেও অসুবিধা হয়। বহু ফ্ল্যাটেই এখন বসার ঘর এবং খাওয়ার ঘর জুড়ে তৈরি ‘ডাইনিং হলে’। একটু বড় স্থানে একদিকে থাকে খাওয়ার টেবিল আবার সেখানেই বসার ব্যবস্থা, আড্ডা মারার স্থান। আধুনিক অন্দরসাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কেমন হবে খাওয়ার জায়গা? যেখানে অতিথি এলে খাওয়ার পাশাপাশি জমিয়ে আড্ডা হবে?
১। আড্ডা-খাওয়া দাওয়া চলুক একই সঙ্গে। সোফা, খাওয়ার টেবিল, চেয়ার এমন ভাবেও সাজানো যায়, যেখানে বসে দৈনন্দিন খাবার খাওয়া যাবে, আবার সান্ধ্য আড্ডাও জমে যাবে। শুধু খাবার টেবিল না রেখে একটি অংশে ব্যবহার করুন আরামদায়ক সোফা। তবে তার উচ্চতাটি যেন টেবিলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
এই ভাবেও টেবিল, চেয়ার, সোফা দিয়ে সাজানো যায় খাওয়ার ঘর। ছবি: সংগৃহীত।
২। কাঠের রং বা ধূসর রঙের খাওয়ার টেবিল নয়, বরং অন্দরসাজের সঙ্গে মিলিয়ে রঙিন আসবাবও ঘরে অন্য মাত্রা যোগ করতে পারে। তবে দেওয়াল, পর্দা, আনুষঙ্গিক জিনিসের সঙ্গে সোফার গদি, টেবিলসজ্জা হতে হবে মানানসই।
৩। বসার জায়গার দেওয়াল রং বা সাজই বদলে দিতে পারে অন্দরের রূপ। একটি দেওয়াল হাইলাইট করা যেতে পারে, কিংবা তাতে ব্যবহার করা যায় কাঠের দেওয়ালসজ্জা। তার সঙ্গে মানানসই আলোর ব্যবহার বদলে দিতে পারে খাওয়ার জায়গার পরিবেশ।