Advertisement
E-Paper

ডিম কতটা সেদ্ধ হচ্ছে বলে দেবে ‘টাইমার’, কী ভাবে ব্যবহার করতে হয়, জানেন?

ডিমের খোসা তো স্বচ্ছ নয়, যে বাইরে থেকে দেখে তা বোঝা যাবে, কতটা সেদ্ধ হল আর কতটাই বা বাকি। ডিম সেদ্ধ করতে করতে একটা ধারণা হয়ে যায়। তবে যাঁদের সেই অভিজ্ঞতা নেই, তাঁদের জন্য রয়েছে বিশেষ এক যন্ত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:২০
Egg Timer

ডিমের মতোই সেদ্ধ করতে হয়, কিন্তু ‘এগ টাইমার’ খাওয়া যায় না। ছবি: সংগৃহীত।

দেখতে ডিমের মতো, ডিমের সঙ্গেই সেদ্ধ করতে হয়। কিন্তু সেটি খাওয়া যায় না। নাম তার ‘এগ টাইমার’!

কী কাজ এই টাইমারের?

ডিমের ভিতরের তরল অংশ সেদ্ধ হওয়ার কোন সময়ে ঠিক কতটা বদলে যাচ্ছে, তা হিসাব করে বলে দিতে পারে। কতগুলি ডিম, জলের তাপমাত্রা এবং সময়ের উপর নির্ভর করে টাইমারের রং-ও বদলে যায়। সেটির উপর নজর রাখলে ডজনখানেক ডিমের মধ্যে থেকে সকলের চাহিদা অনুযায়ী সেদ্ধ ডিম তুলে নেওয়া যায়।

বিষয়টা ঠিক কেমন?

ধরুন, বাড়ির সকলের জন্য ডিম সেদ্ধ করবেন। কিন্তু এক এক জনের ফরমায়েশ এক এক রকম। কেউ চান টোস্টের সঙ্গে একেবারে শক্ত অর্থাৎ ‘হার্ড বয়েল্‌ড’ ডিম খেতে। কারও আবার ‘হাফ বয়েল্‌ড’ পছন্দের। খুদে সদস্যটির বক্তব্য, ডিম এমন ভাবে সেদ্ধ করতে হবে যেন কুসুমের রং ‘সান’ মানে সূর্যের মতো হয়!

ডিমের খোসা তো স্বচ্ছ নয়, যে বাইরে থেকে দেখে তা বোঝা যাবে, কতটা সেদ্ধ হল। অভিজ্ঞ অনেকের কাছেই এ বিষয়ে বহু পরামর্শ পেয়েছেন। কেউ বলেন, ঘড়ি ধরে ছ’মিনিট! তাতেই ডিম সুসিদ্ধ হবে। কারও মত, ৮ মিনিট। ডিম সেদ্ধ নিয়ে কোনও রকম ঝক্কি নিতে নারাজ যাঁরা, তাঁদের মত একেবারে ১০ মিনিটে গিয়ে থামা। পেশাদার রন্ধনশিল্পীরা আবার সেদ্ধ করা ডিম ফুটন্ত জল থেকে তুলে সঙ্গে সঙ্গে বরফগলা কনকনে জলে ডুবিয়ে দেন। সেই টোটকাতেও কাজ হয়। তবে ডিম কত ক্ষণ সেদ্ধ করবেন, তার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে।

কাজে বেরোনোর আগে এমনিতেই হাতে সময় খুব একটা থাকে না। তার উপর সামান্য ডিম সেদ্ধ করতে গিয়ে যদি এত ঝক্কি পোহাতে হয়, তা হলে মুশকিল! গুগ্‌ল, ইউটিউব কিংবা রিল ঘেঁটে এমন অনেক তথ্য জোগাড় করেছেন। কিন্তু সমস্যা হল ডিম সেদ্ধ করতে দিয়ে ঘড়ির দিকে ঠায় চেয়ে থাকলেও ঠিক ওই মুহূর্তে এমন কাজ এসে পড়ে যে, কোনও দিনই কারও আবদার পূরণ করতে পারেন না। সেই মুশকিল আসান করতে পারে টাইমার নামক যন্ত্রটি।

ডিমের সঙ্গে জলে ফুটতে দিয়ে দিতে হয় টাইমারটিকে। ডিম সেদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রটিও সেদ্ধ হতে থাকে। জল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে বদলাতে থাকে টাইমারের রং। ঘড়ির দিকে ঠায় চেয়ে থাকার প্রয়োজন হয় না। ডিম ঠিক কখন জল থেকে তুলতে হবে, তার জন্য ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখার ঝক্কিও থাকে না। ডিম সেদ্ধ হওয়ার পর জল থেকে তুলে নিলে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখলে টাইমারটি আবার আগের পর্যায়ে ফিরে আসে।

কোথায় কিনতে পাওয়া যায়?

বিভিন্ন ইকমার্স সাইটে ‘এগ টাইমার’ কিনতে পাওয়া যায়। সিলিকন, ধাতু, ফাইবার দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের এগ টাইমার সেখানে কিনতে পাওয়া যায়। দামও খুব বেশি নয়। ৩০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যেই।

Half Boiled Egg Hard Boiled Egg boiled egg Timer
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy