ফুল হোক বা সব্জি গাছ— থোকা থোকা ফুল, ভাল ফলন পেতে হলে প্রয়োজন উপযুক্ত পরিচর্যা। তবে কাঙ্খিত লক্ষ্যলাভ অধরা থাকতে পারে, যদি গাছ বসানো, মাটি তৈরিতে ভুল রয়ে যায়। যে কোনও গাছ বসানোর আগে কোন বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। চারা বসানোর সময় কোন কোন দিতে খেয়াল রাখবেন?
১. বারান্দায় গাছ বসালে দেখতে হবে, দিনে সেখানে কত ক্ষণ রোদ আসে। টম্যাটো, কাঁচালঙ্কার মতো সব্জি, জিনিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, গোলাপ ফুলের গাছের জন্য অন্তত ৪-৬ ঘণ্টা সূর্যালোকের প্রয়োজন হয়। আবার মানি প্ল্যান্ট, স্নেক প্ল্যান্ট, পিস লিলির মতো বাহারি গাছ রোদের তাপে নষ্ট হয়ে যায়। তাই কোন জায়গায় টব রাখবেন, তার উপর নির্ভর করে গাছ বাছাই করা জরুরি।
২. গাছ বসানোর জন্য সঠিক টব বাছাই জরুরি। টবে যথেষ্ট জায়গা থাকলে তবেই শিকড় ছড়িয়ে পড়বে। গাছ ঠিক ভাবে বাড়বে। যে কোনও গাছ বসানোর সময় তার দৈর্ঘ্যের চেয়ে অন্তত ২৫ শতাংশ বড় আকারের টব বেছে নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন:
৩. যে কোনও গাছের বেড়ে ওঠার জন্য জল দরকার ঠিকই, তবে টম্যাটো, কাঁচালঙ্কার মতো সব্জি গাছ হোক অথবা জিনিয়া, গোলাপ, গোড়ায় জল জমলে গাছের ক্ষতি। ফলে চারা বসানোর আগেই টবের জল নিষ্কাশনের বন্দোবস্ত করতে হবে। মাটির টবে নীচের দিকে ছিদ্র থাকে যাতে অতিরিক্ত জল ঝরে যায়। তবে প্লাস্টিকের ড্রাম বা বোতল টব হিসাবে ব্যবহার করলে তার নীচের অংশে ছিদ্র করতে হবে। তার পর কাঁকর, বালি টবের তলদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। এতে মাটির নীচে জল জমতে পারবে না।
৪. যে কোনও গাছের চারা বসানোর সময়ই মাটির প্রস্তুতি জরুরি। গাছ বসানোর জন্য যে কোনও মাটি বেছে নিতে পারেন। তবে তার সঙ্গে উপযুক্ত পরিমাণে জৈব সার, কোকোপিট মিশিয়ে নেওয়া দরকার। যে গাছ বসাচ্ছেন, সেই গাছের উপযোগী সার যোগ করতে পারেন শুরুতেই। বেশির ভাগ গাছের জন্য মাটি, কোকোপিট এবং কম্পোস্ট ২:১:১ অনুপাতে মিশিয়ে নিলেই ভাল কাজ হবে।
৪. মাটি ভরার সময় টবের উপরে ৩ ইঞ্চি খালি রাখা দরকার। টবের মাঝে গাছটি বসিয়ে মাটি হালকা চাপ দিয়ে বসিয়ে দিতে হবে। সরাসরি গাছের গোড়ায় নয়, একটু দূরে অল্প জল ছড়িয়ে দিতে হবে। চারাগাছ বসিয়ে সরাসরি রোদে রাখলে শুকিয়ে যেতে পারে। ফলে দিন কয়েক ছায়ায় রেখে গাছ মাথাচাড়া দিলে তার পর রোদে রাখা দরকার।