ছোট্ট বারান্দায় থাকুক সবুজ ছোঁয়া! ছবি: শাটারস্টক।
একটা সময়ে বাগান তৈরির প্রাথমিক শর্তই ছিল জায়গা। এমনকি, বাগান বললেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে সবুজ গাছগাছালি ভরা অনেকটা পরিসরের কথা। কিন্তু দিনকাল বদলেছে। তাই ছোট্ট ফ্ল্যাটেও ঠিক জায়গা করে নিচ্ছে সবুজের ঢল। ফ্ল্যাটের সামান্য করিডোর হোক কিংবা এক চিলতে বারান্দা— শৌখিন মানুষরা ছোট্ট পরিসরেই ঠিক বাগান তৈরি করে নিতে পারেন।
পরিবারের খুদে সদস্য বা পোষ্যের উপর যেমন ভালবাসা, স্নেহ, মায়া থাকে, গাছপালাও তেমনই। সামান্য আদর-যত্নে বে়ড়ে উঠে সেই সব প্রাণ ছড়িয়ে দিতে থাকে ভালবাসার ছায়া। বাড়িতে তেমন জায়গা না থাকলেও ঘরের সঙ্গে লাগোয়া এক ফালি বারান্দাই গাছদের বাসা তৈরির জন্য যথেষ্ট। তবে ছোট্ট পরিসরে বাগান তৈরির জন্য নিতে হবে কিছু ফন্দি! রইল তারই হদিস।
১) গোটা বারান্দার মেঝের উপর পেতে রাখতে পারেন কৃত্রিম ঘাসের কার্পেট। এতে বাগানের অনুভূতিও বজায় থাকবে। আবার বারান্দার ভোলও বদলে যাবে এক লহমায়। ফ্ল্যাটের ভিতরের কাচের দরজা খুলে বারান্দায় বেরোলেই পৌঁছে যাবেন সাধের ঘাস-বাগানে।
২) বারান্দায় গাছ রাখার ক্ষেত্রে প্রথমেই রেলিংয়ের ধার ধরে একটু মাঝারি আকারের টব লাগাতে পারেন। যে সব গাছের ওজন ভারী, তারা জায়গা করে নিতে পারে এই ধরনের টবে।
৩) এমন কিছু হালকা গাছ থাকে, যাদের সহজেই ছোট ছোট টবে পুঁতে বারান্দার সিলিং থেকে ঝুলিয়ে দিতে পারেন। ছোট ঝুলন্ত বাগান ফ্ল্যাটের ভিতর এবং বাইরে থেকেও নজর কাড়বে সকলের।
৪) বারান্দায় যদি কড়া রোদ সরাসরি আসে, তা হলে সেই জায়গায় এমন গাছই রাখবেন, যারা সেই রোদ সহ্য করতে পারে। কখনও কড়া রোদ থেকে গাছের টব সরিয়ে ছায়াতেও রাখতে পারেন। রোদ নেমে গেলে আবার ফিরিয়ে দিতে পারেন তাদের পুরনো জায়গায়। আর এমনটা সম্ভব না হলে বারান্দার ঠিক উপরে শেড লাগানো ব্যবস্থা করতে হবে।
৫) জল দেওয়ার কথা ভুলবেন না যেন। যে গাছের যেমন জল প্রয়োজন, সেই পরিমাণ দেওয়াই শ্রেয়। বৃষ্টির ছাটও গাছকে তরতাজা রাখে। তবে অতিরিক্ত বর্ষণ যে সব গাছ সহ্য করতে পারে না, খেয়াল রাখুন তাদের দিকেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy