দিনের শেষে হাত-পা না ধুয়ে বিছানায় গিয়ে শরীর এলিয়ে দেওয়ার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। কিন্তু নিয়ম করে চাদরটি পাল্টানোর কথা ভাবেন না তাঁদের অনেকেই। বেশির ভাগ বাড়িতেই যত ক্ষণ না তা ময়লা দেখায়, তত ক্ষণ তা পাল্টে ফেলা হয় না বা কাচার কথা ভাবেন না লোকে।
অথচ নিয়ম করে বিছানার চাদর, বালিশের ঢাকনা পাল্টানো স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের মধ্যে পড়ে। স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হলে বিছানার চাদর থেকে গদি, বালিশ, ঢাকনা— সব কিছুর পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর থাকা জরুরি।
গরমকালে বেশি ঘাম হয়, তখন মোটামুটি ৩ দিন অন্তর বিছানার চাদর পাল্টে ফেলা দরকার। তবে মাঝেমধ্যে গদির দিকে নজর না দিলে, পরিচ্ছন্নতা কোনও ভাবেই বজায় থাকবে না। কারণ অনেক সময়েই বিছানায় জল, খাবার পড়ে যায়। সেগুলি কিন্তু পরিষ্কার করা দরকার।
১। বিছানার চাদর থাকলেও ধুলো জমে গদিতে। সবচেয়ে ভাল উপায় ভ্যাকিউম ক্লিনার দিয়ে প্রাথমিক ভাবে ধুলো-ময়লা পরিষ্কার করে নেওয়া। যদি তা না থাকে বিছানা ঝাড়ার ঝাড়ুও ব্যবহার করতে পারেন।
২। শিশুরা প্রস্রাব করলে বা কোনও অংশ ভিজে গেলে বিশ্রী গন্ধ বেরোয়। গদি পরিষ্কার করার প্রাকৃতিক উপায় হল বেকিং সোডা। শুনে অবাক হলেও, ক্ষতিকর রাসায়নিকের চেয়ে এটি ভাল। গদির উপর পাউডারের মতো সোডা ছড়িয়ে রাখুন মিনিট অন্তত ঘণ্টাখানেক। রাতভরও রাখা যায়। এতে খারাপ গন্ধ চলে যাবে, গদির স্যাঁতসেতে ভাবও কমবে। পরে গদিটি ভাল করে ঝেড়ে নিন।
৩। গদিতে অনেক সময় তেল, চা, খাবার পড়ে গেলে দাগ হয়ে যায়। দাগ তুলতে মৃদু কোনও শ্যাম্পু বা সাবান জলে গুলে নিন। এর মধ্যে কাপড় ডুবিয়ে সেটি নিংড়ে নিয়ে দাগ লাগা স্থানটি আলতো করে পরিষ্কার করে নিন। বেশি ঘষাঘষি না করেই কাজটি করতে হবে।
৪। বছরে এক থেকে দু’বার গদি খুব ভাল ভাবে পরিষ্কার করা দরকার। জামা ইস্ত্রি করার জন্য ব্যবহৃত জলীয় বাষ্প দেওয়া ইস্ত্রির যন্ত্র বা স্টিমার দিয়ে খুব ভাল ভাবে গদি পরিষ্কার করা যায়। এটি গদিতে জন্মানো জীবাণুও দূর হয়। তবে সেই যন্ত্র সচরাচর বাড়িতে থাকে না। বদলে রোদে দেওয়া যেতে পারে গদিটি।
৫। গদি পরিষ্কার রাখার জন্য বিশেষ ধরনের কভার বা ঢাকনা পাওয়া যায়। গদির উপরে সেটি পরিয়ে রাখলে নোংরা কম হবে। দাগ হওয়ার ঝুঁকিও কমবে।