ঘরের অবস্থা যতই ছন্নছাড়া হোক, মাথা ঠান্ডা করে কয়েক মিনিটেই গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব। প্রতীকী ছবি।
ব্যস্ততা, কাজ, অফিস, বাড়ি ফিরে শিশুকে পড়াতে বসানো, হেঁশেলের কাজ, এত কিছুর মধ্যে নিয়ম করে ঘর গোছানো হয়ে ওঠে না অনেকেরই। এ দিকে, বাড়িতে ছোট কোনও সদস্য থাকলে বাড়িঘর গুছিয়েও যে কোনও লাভ হয়, তা নয়। বই-খাতা থেকে শুরু করে খেলনা, বল ছড়িয়ে রয়েছে, কমবেশি সব বাড়ির দৃশ্যই এমন। তবে হঠাৎই যদি জানতে পারেন, বাড়িতে বন্ধুবান্ধব আসছে, তা হলে ঘরের এমন চেহারা দেখে নিজেরই বুক কেঁপে ওঠে। তবে বুক ধড়ফড় করা থামলে শান্ত হয়ে বসে মাথা খাটালেই কম সময়ে ঘরের ভোল বদলে দিতে পারেন। ঘরের অবস্থা যতই ছন্নছাড়া হোক, মাথা ঠান্ডা করে কয়েক মিনিটেই গুছিয়ে নেওয়া সম্ভব।
১) এ দিক-ও দিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জিনিসপত্র একসঙ্গে আলমারির নীচের তাকে অথবা ফাঁকা কোনও বাক্সে ঢুকিয়ে দিন। দেখবেন ঘরদোর বেশ পরিচ্ছন্ন লাগছে।
২) সোফা, চেয়ার, খাটের উপর জামাকাপড় ছড়ানো রয়েছে? তা হলে সব জামাকাপড় ভাঁজ করে রাখার সময় হবে না। তার চেয়ে জামাকাপড় ধরে ওয়াশিং মেশিনে ভরে দিন।
৩) শুধু জামাকাপড় আর খেলনা কেন, ঘরজুড়ে বইপত্রও ছড়ানো থাকে। তবে বইগুলি তুলে রাখার সময়ে তাড়াহুড়ো করলে চলবে না। মলাট ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবার কাচ দেওয়া বইয়ের আলমারিতে তুলতে গেলেও দেরি হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে বইগুলি একসঙ্গে পর পর সাজিয়ে টেবিলের উপর তুলে রাখতে পারেন।
৪) ঘরে আলো জ্বালিয়ে দিন। বড় সাদা আলো জ্বালালে দেখতে বেশ ভাল লাগবে। ঘরে ল্যাম্পশেড আছে? তা হলে অতিথি আসার আগে সেগুলি জ্বালিয়ে দিন। ভাল লাগবে।
৫) অতিথির মন কেড়ে নেওয়ার আরও একটি উপায় হতে পারে রুম ফ্রেশনার কিংবা সুন্দর গন্ধ দেওয়া মোমবাতি। ঘরে এমন সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখলে কম গোছানো ঘরে বসেও জমে উঠবে আড্ডা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy