ইটকাঠের জঙ্গল যতই বাড়ছে, ততই প্রয়োজন হচ্ছে সবুজের। মহানগর থেকে শহরতলি— গাছপালা তেমন নজরে আসে না। তবে তারই মধ্যে কেউ কেউ শখের বাগান বাঁচিয়ে রেখেছেন। তা অবশ্য প্রয়োজনের তুলনায় কমই। যে ভাবে সবুজ উধাও হচ্ছে, ভবিষ্যতে কোন গাছ থাকবে আর কোনটি নয়, বলা শক্ত। তা ছাড়া ভাল জাতের গাছ পাওয়াও মুখের কথা নয়। সবুজ সংরক্ষণে বরং উদ্যোগী হতে পারেন বীজ সংগ্রহে। তৈরি করতে পারেন বীজ ব্যাঙ্ক।
১। সব্জি, ফুল, ফল— যে কোনও গাছ থেকেই বীজ সংগ্রহ করতে হবে। তবে গাছটি সুস্থ এবং সবল হওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন:
২। বীজ পুরোপুরি না পাকা পর্যন্ত সেটি সংগ্রহ করা যাবে না। কাঁচা বীজ সংগ্রহ করলে কিন্তু তা থেকে নতুন গাছ হওয়া মুশকিল।
৩। বীজ সংগ্রহ করার আগে সেটি খুব ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে। দরকার হলে বীজ ধুয়ে নিতে পারেন। কিন্তু সেটি রোদে ভাল করে শুকিয়ে নেওয়া জরুরি।
৪। বীজ সংরক্ষণ করুন কাগজের খামে বা বায়ুনিরোধী কাচের পাত্রে। তবে সেটি রাখতে হবে তুলানমূলক অন্ধকার এবং শুকনো স্থানে। স্যাঁতসেঁতে আবহে বীজের অঙ্কুরোদগম হতে পারে। কোনও দেরাজে বীজগুলি সংরক্ষণ করতে পারেন।
বীজ সংরক্ষণে করণীয়
· বীজ সংরক্ষণের সময় বীজের নাম, গাছের প্রজাতি লিখে রাখুন। নির্দিষ্ট রঙের ফুল হলে, সেটিও উল্লেখ করা ভাল।
· বীজ সংরক্ষণের আগে কয়েকটি বীজ পরীক্ষা করে দেখুন, সঠিক অঙ্কুরোদগম হচ্ছে কি না।
· সুস্থ গাছ থেকেই পরিণত বীজ সংগ্রহ করা জরুরি।
· নিজের কাছে সবটুকু না রেখে বীজের আদান-প্রদান করতে পারেন। এতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বৈচিত্র বাড়বে।
করবেন না যে কাজ
নতুন এবং পুরনো বীজ মিশিয়ে ফেলবেন না
অতিরিক্ত সূর্যালোকে ফেলে রাখলে বীজ শুকিয়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত আর্দ্রতাতেও বীজ পচে নষ্ট হতে পারে।
খোলা জায়গায় বা আলগা কৌটোয় ভরে রাখলে বীজের গুণাগুণ নষ্ট হতে পারে।