কালীপুজো-দীপাবলির সঙ্গে আলোর যোগ। ঘর থেকে বারান্দা, টুনি লাইট বা প্রদীপের আলো মুহূর্তে বদলে দেয় রূপ। জোরালো-নরম আলোর মিশেলে অন্দরমহলে তৈরি হয় এক মায়াময় পরিবেশ।
আলোর উৎসবে আলো থাকবেই, তার সঙ্গে টুকিটাকি জিনিস জুড়েই হোক অন্দরসাজ। তবে এ বার গৃহকোণকে কেন্দ্র করেই সেজে উঠুক ঘর। জবরজং নয়, বরং ছিমছাম সাজেই বাজিমাত করতে পারেন কালীপুজো, দীপাবলির অনুষ্ঠানে।
গৃহকোণে সেলফি জ়োন
ঘরের একটি কোণ সাজিয়ে নিতে পারেন অন্য ভাবে। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
ঘরের কোণের অংশটির সাজসজ্জা নিয়ে ভাবলেও কিন্তু গোটা অন্দরের ছবিটি বদলে যেতে পারে। পার্বণ, উৎসব সেলফি ছাড়া অসম্পূর্ণ। তাই বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন সেলফি জ়োন। চেষ্টা করুন যে অংশটিতে সেলফি জ়োন করবেন, তার পিছন দিকে এমন ভাবে আলো দিতে, যেন সেই আলোর উৎস দেখা না যায়। একরঙা কোনও চাদর ব্যবহার করতে পারেন। হালকা টুনিলাইট, বড় বড় ফুলদানি, গুটিকয়েক শৌখিন কুশন দিয়ে জায়গাটি সাজিয়ে তুলতে পারেন। তবে গৃহকোণ ছাড়াও, বাড়ির অন্যত্র সুবিধামতো স্থানে এটি করা যেতে পারে। তবে এই স্থানে এমন ভাবে একটি জোরালো আলো রাখতে হবে, যাতে ছবির বিষয়বস্তু আলোকিত হয় বা যিনি দাঁড়াচ্ছেন, তাঁর মুখে যথেষ্ট আলো পড়ে।
রঙ্গোলি
রঙ্গোলিও থাক গৃহসজ্জায়। ছবি: সংগৃহীত।
রঙ্গোলি আর প্রদীপের মিশেলে দারুণ ভাবে সাজিয়ে তোলা যায় অন্দরমহল। রঙ্গোলি বাঙালি সংস্কৃতির অঙ্গ না হয়েও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রঙ্গোলির নকশা পাওয়া যাবে সমাজমাধ্যমে চোখ রাখলেই। মনের মতো রঙিন নকশা আঁকতে পারেন। প্রদীপ এবং গাঁদা ফুলের মালার ব্যবহারে তা আরও সুন্দর দেখায়। ঘরের কোণের অংশটি কাজে লাগিয়ে নানা রকম রঙ্গোলি দেওয়া যায়।
জল এবং ফুল
জল, ফুল, বাতি দিয়ে সাজিয়ে নিন ঘর। ছবি:সংগৃহীত।
পিতলের বড় কোনও বাটি, কাচের শৌখিন পাত্র, টাটকা ফুল, ভাসমান প্রদীপ ছাড়া দীপাবলির গৃহসজ্জা অপূর্ণ। বড় কোনও পাত্রে জল রেখে টাটকা বড় ফুল আর প্রদীপ ভাসিয়ে দিন। গাঁদা ফুলের মালা বা রকমারি ফুলের পাপড়ি দিয়ে সেই পাত্রকে কেন্দ্র করে কোনাকুনি বা বৃত্তাকারে বের দেন। ব্যাটারি চালিত প্রদীপ দিয়ে সাজিয়ে দিন অংশটি। গৃহকোণ শুধু নয়, টেবিল, বসার ঘরের মাঝের অংশ— সুবিধামতো যে কোনও স্থান এ ভাবে সাজানো যায়।
পেপার কুইলিং
পেপার কুইলিং-এর জিনিসপত্র দিয়েও সাজিয়ে তোলা যায় ঘর। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
এটি একটি শিল্প। এই ধরনের কাজে আগ্রহ থাকলে নিজে বানিয়ে নিতে পারেন বা কিনতেও পাওয়া যায়। ঘরের কোণে পেপার কুইলিং-এর বাতিদান, কিংবা রঙ্গোলির মতো নকশা তৈরি করলেও দেখতে সুন্দর লাগবে। পেপার কুইলিং-এর ঝোলানো বাতিদানও পাওয়া যায়। সেগুলিও ব্যবহার করতে পারেন।
ঠাকুরের সিংহাসন
ঠাকুর রাখার স্থানটিও আলো, ফুলে সাজিয়ে তুলতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
কালীপুজো, দীপাবলির দিনে ঠাকুরের সিংহাসন বা প্রতিমা রাখার স্থানটিও সাজিয়ে তুলতে পারেন প্রদীপ এবং আলোর ব্যবহারে। টাটকা ফুল, হালকা আলোই রূপ বদলে দেবে।
সমন্বয় জরুরি: সেলফি জ়োন, জলের পাত্র, বাতিদান, রঙ্গোলি— এই সমস্ত কিছু দিয়ে পৃথক ভাবে বাড়ির বিভিন্ন স্থান সাজানোর পরিবর্তে যদি সমস্ত কিছু মিলিয়ে অন্দরসাজের পরিকল্পনা করা যায়, তা আরও মনোগ্রাহী হতে পারে। এর সঙ্গে বিভিন্ন আসবাব, পিতলের বাতিদান ব্যবহার করতে পারেন।