সাদা, হলুদ বা গোলাপি—রঙবেরঙের জিনিয়া ফুল মন ভাল করে দেবেই। অনেকেরই ফুল গাছ লাগানোর শখ থাকে। সে কারণেই বাড়ির বারান্দা হোক বা ঘরের জানলা অথবা ছাদে, ফুলের বাগান বানানোর চেষ্টা অনেকেই করেন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাগন তৈরির ভাবনাতেও বদল এসেছে। অল্প জায়গায় কী ভাবে নানা রকম ফুলের গাছ লাগানো যায়, সে নিয়ে নানা পদ্ধতিরও প্রয়োগ হচ্ছে এখন। তবে জিনিয়া ফুলের প্রতি প্রেম থাকলে, তা কম সময়ে ও অল্প জায়গাতেও দিব্যি ফোটানো যাবে।
জিনিয়া ফোটানো মোটেই ব্যয়বহুল নয়। বিশাল আয়োজনেরও প্রয়োজন নেই। নার্সারি থেকে ফুল গাছের চারা বা বীজ কিনে এনে ফোটাতে পারেন। বীজ কিনে আনলে তা প্রথমে ছোট টব বা গামলায় মাটি ও কোকোপিট ভরে তাতে পুঁতে দিন। অল্প অল্প করে জল দিতে হবে রোজ। এক-দু’সপ্তাহ পর চারা গাছ বেরোলে মাটি সমেত সেটা তুলে বড় টবে রাখতে হবে।
বড় টবে চারা গাছ পোঁতার সময়ে মাটির সঙ্গে অবশ্যই কোকোপিট মেশাতে হবে। নারকেলের ছোবড়া থেকে এটি তৈরি করা হয়। এতে থাকে নাইট্রোজেন, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, জ়িঙ্ক। মাটির চেয়ে বেশ হালকা কোকোপিট। গাছ বসানোর আগে মাটি প্রস্তুত করতে হয়। সেই সময়ে এই উপাদানটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া হয়। যে হেতু এটি মাটির মতো শক্ত হয় না, গাছের শিকড় ছড়িয়ে পড়তে তা সাহায্য করে। কোকোপিট ব্যবহারে গাছের মাটি আলগা থাকে। ফলে জল-হাওয়া প্রবেশ করতে পারে।
যদি অসংখ্য জিনিয়া ফোটাতে চান, তা হলে দু’টি গাছের মধ্যে কতটা দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, তা জেনে নেওয়া জরুরি। ছোট ফুলের গাছ কিনলে পাশাপাশি রাখতে পারেন। যদি বড় ফুল হয়, তা হলে দু’টি টবের মধ্যে দূরত্ব রাখতে হবে।
জিনিয়া গাছ বড় হওয়ার সময়ে জল ও সূর্যালোকের প্রয়োজন। গাছ প্রতি দিন চার থেকে ছ’ঘণ্টা রোদে রাখতেই হবে। তবে দুপুরের চড়া রোদে না রাখাই ভাল। রোজ জল দিতে হবে। মাটি যেন ভিজে থাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, গাছের গোড়ায় যেন জল জমে না থাকে।
গাছে ফুল ধরতে ৪০-৭০ দিনের মতো সময় লাগে। যদি দেখেন দুই থেকে তিন বার ফুল ধরার পরে সেই গাছে আর ফুল হচ্ছে না, তা হলে জৈব সার দিতে হবে। গাছে পোকা হচ্ছে কি না, তা-ও খেয়াল রাখতে হবে।