সব খাবারে পুদিনা খাওয়ার তেমন চল নেই বাঙালিদের। তবে মাঝেমধ্যে শরবত বা মকটেল ‘মোহিতো’-তে তা দিলে মন্দ হয় না। কিংবা কার্বনযুক্ত ঠান্ডা পানীয়ে মাঝেমধ্যে টাটকা পুদিনা পাতা থেঁতলে দিয়ে একটু সৈন্ধব নুন আর পাতিলেবু মিশিয়ে দিলেও দারুণ পানীয় তৈরি হয়।
কবে, কখন দরকার পড়বে, তাই সব সময় ফ্রিজে পুদিনাপাতা মজুত করে রাখা খুব একটা বাস্তব সম্মত কাজ নয়। তবে সহজ উপায় আছে হাতের কাছেই। পুদিনা যেমন মাটিতে বাড়ে, তেমনই জলেও এই গাছ বৃদ্ধি পায়। হাতের কাছে যখন-তখন টাটকা পুদিনা পেতে কী ভাবে বড় করবেন এই গাছ?
আরও পড়ুন:
পুদিনার কয়েকটি সতেজ ডাঁটি সুতো দিয়ে মোটা করে বেঁধে নিন। প্লাস্টিক বা কাচের বোতলে জল ভরে পুদিনার ডাঁটিগুলি ভিজিয়ে রাখুন। পাতা, ডাঁটির কিছুটা জলের নীচে, কিছুটা জলের উপরে থাকবে।
বোতলটি হালকা রোদে রাখলেই দিন কয়েকের মধ্যে শিকড় গজাবে। দু-তিন দিন অন্তর জল পালটে দিন খুব সাবধানে, শিকড়ের ক্ষতি না করে।
দিন কয়েকের মধ্যে পুদিনার ডাঁটি থেকেও ডালপালা বেরোবে। শিকড় অতিরিক্ত লম্বা হয়ে গেলে মাঝেমধ্যে জল থেকে বার করে তার তলদেশ কাঁচি দিয়ে কেটে দিন। আবার জলে রাখুন।
প্রচুর পরিমাণে পুদিনাপাতা পেতে ‘প্রুনিং’ বা ডাল ছাঁটা জরুরি। পুদিনা গাছের ডাঁটিগুলি উপর থেকে ২ ইঞ্চি মাপে কেটে ফেলুন। উপরের ডালপালা ছেঁটে দিলে গাছ আরও ভাল ভাবে বৃদ্ধি পাবে।