গাছের বেড়ে ওঠার জন্য সঠিক পুষ্টি প্রয়োজন। মাটি থেকে যখন সেই পুষ্টি পায় না গাছ, তখন দরকার হয় সারের। বাজারচলতি সারের অভাব নেই। কিন্তু পরিবেশের কথা ভাবলে, রাসায়নিক এড়িয়ে প্রাকৃতিক উপাদানেই ভরসা রাখতে বলেন অনেক উদ্যানপালক।
তা ছাড়া বাড়িতেই যথন সেই উপাদান মজুত থাকে, তখন আর খরচ করে সার কেনার দরকার কী। বরং বাড়িতেই কলার খোসা দিয়ে বানিয়ে নিন তরল সার।
কলার খোসার সারের উপকারিতা
পটাশিয়াম: এতে মেলে পটাশিয়াম। গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য খনিজটির দরকার।
ম্যাগনেশিয়াম: ক্লোরোফিল তৈরির জন্য ম্যাগনেশিয়াম প্রয়োজন।
ক্যালশিয়াম: শিকড়ের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
সালফার: প্রোটিনে, অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরিতে সাহায্য করে।
তরল সার তৈরির পন্থা
একটি পাত্রে ৩-৪টি কলার খোসা ভরে জল দিয়ে ভর্তি করে দিন।
ঢাকনা আটকে রাখা যাবে না। সার তৈরির জন্য পাত্রের মুখটি সুতির কাপড় দিয়ে আটকে দিন। ২-৩ দিন থেকে এক সপ্তাহ রাখা যায় এই ভাবে।
কলার খোসা পচানো জলটি টবে রাখা মাটিতে মিশিয়ে দিন। সেই মাটি পরবর্তীতে চারা গাছ বসানোর সময় মাটি তৈরির জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
কলার খোসা পচানো সার সরাসরি গাছে দেওয়া যায় না। ১:৪ অনুপাতে তা জলে মিশিয়ে নিন। গাছে সার দেওয়ার আগে মাটি খুঁড়ে আলগা করে নিন। তার পর তা ঢেলে দিন।
তবে মনে রাখা দরকার, কলার খোসা থেকে তৈরি সার গাছের সম্পূর্ণ পুষ্টির জোগান দিতে পারে না। প্রয়োজনীয় কিছু খনিজের জোগান দেয় মাত্র।