অনলাইন হোক বা দোকান— কালীপুজো, দীপাবলির আগে বাজারে রকমারি বাতি পাওয়া যায়। তবে প্রতি বছর বাতি যেমন কেনা হয়, কিছু বাতি রয়েও যায়। সেগুলি অযত্নে পড়ে থাকে। তার পর সেগুলি ফেলেও দেওয়া হয়।
ঘরে থাকা এমন পুরনো বাতি, পাথর, ঝিনুক, চুমকি, পুঁতি— এমন সব জিনিস দিয়ে সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন একদম ভিন্ন ধরনের রংচঙে বাতি। নিজের হাতে তৈরি জিনিস উৎসবে উপহার দিতে পারেন, সাজাতে পারেন ঘরও। শিখে নিন পন্থা।
জল দিয়ে মোমবাতি
জল দিয়েও মোমবাতি বানানো যায়। খুব সহজে। ছবি: ইউটিউব।
ছোট আকারের কাচের গ্লাস বেছে নিন, তবে নকশাদার নয়। হাতের কাছে যেটা পাচ্ছেন ঝিনুক অথবা রঙিন পাথর— কিংবা দুটোই গ্লাসের নীচের অংশে ভরে দিন। তার পর দিয়ে দিন বেশ কিছুটা জল। উপর থেকে বেশ কিছুটা তেল ছড়িয়ে দিন। এবার একটি প্লাস্টিকের মাঝ বরাবর ছিদ্র করে একটি সরু সলতে তার ভিতরে ঢুকিয়ে জলের উপর ভাসিয়ে দিতে হবে। সলতেতে তেল মাখিয়ে আগুন দিলেই সুন্দর মোমবাতির মতো জ্বলবে।
কাচের বাটি বা পাত্রে মোমবাতি
শিখে নিন মোমবাতি তৈরির উপায়। ছবি: ইউটিউব।
পুঁতির হার পুরনো হয়ে গিয়েছে? পুঁতি খুলে কাচের শৌখিন পাত্র বা বাটিতে ছড়িয়ে দিন। তার উপরে বসিয়ে দিন প্লাস্টিকের কোন ডালপালা সমেত ফুল। একটি বড় সলতে পুঁতিতে আটকে দিন। সলতের মুখ যেন কাচের বাটি বা পাত্রের উপর পর্যন্ত থাকে। একটি পাত্রে বাড়িতে থাকা পুরনো মোমবাতি কুচিয়ে নিয়ে আগুনে গলিয়ে নিন। গলানোর সময় দিয়ে দিন পছন্দের মোম রঙের একটি টুকরো।
সুগন্ধী মোম
সুগন্ধী মোম কী ভাবে বানাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
বাজারচলতি কৃত্রিম সুগন্ধী মোম স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয় বলেন চিকিৎসকেরা। বদলে প্রাকৃতিক গন্ধের ব্যবহারে খুব সহজে বানিয়ে ফেলুন কাচের জারে মোমবাতি। বাড়িতে যদি কাচের পুরনো প্রসাধনীর কৌটো থাকে সেগুলি পরিষ্কার করে নিন। সলতেয় গলিয়ে নেওয়া মোম মাখিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এবার সেটি একটি কাঠের সাহায্যে জারের উপরে এমনভাবে বসান যাতে, সলতেটি ঠিক মাঝ বরাবর থাকে। এবার গলিয়ে নেওয়া মোমে ২-৩ ফোঁটা এসেনসিয়াল অয়েল মিশিয়ে সেটি কাচের জারে ঢেলে জমাট বাঁধতে দিন। মোমে লবঙ্গ, দারচিনি, চাকা করে কেটে নেওয়া বিভিন্ন ফল শুকিয়ে ব্যবহার করা যায় সুগন্ধের জন্য। মোম জমাট বাঁধার সময় সেগুলি দিয়ে দিতে হবে।